রোগী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ক্যান্সার হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১১ জুন ২০১৮, ১৫:০৬ | আপডেটেড ১৪ জুন ২০১৮, ০৫:০৬

cancervicon

মরণব্যাধি ক্যান্সারের অন্যতম চিকিৎসা রেডিওথেরাপি। সেই কক্ষের সামনেই প্রায় ২৫০ রোগীর লম্বা লাইন।

এরা সবাই ক্যান্সারে আক্রান্ত। বেশিরভাগেরই দাঁড়িয়ে থাকার মতো শারীরিক সক্ষমতা নেই। অনেকে শুয়ে পড়েছেন মেঝেতে। এই রোগীদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন রেডিওথেরাপি বিভাগে ১১ জন কর্মী।

এটা ক্যান্সারের চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত হাসপাতাল রাজধানী ঢাকার মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিত্র।

সরেজমিনে সম্প্রতি হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল এই করুণ দশা। হাসপাতালে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি থাকলেও জনবলের অভাব প্রকট। যে কারণে রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।

গাইবান্ধা থেকে ক্যান্সারাক্রান্ত বাবাকে নিয়ে এসেছেন ছেলে কামরুজ্জামান। মেঝেতে বাবাকে রেখে চোখ ছলছল সন্তানের।

কামরুজ্জামান হেলথ নিউজকে বলেন, চিকিৎসা নিতে দুই-তিন সপ্তাহ পরপর বাবাকে নিয়ে আসতে হয় ঢাকায়। কিন্তু লম্বা লাইনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার বাবা। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ্য নেই বলে সরকারি এই হাসপাতালই তাদের ভরসা।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোয়াররফ হোসেন হেলথ নিউজকে জানান, প্রতিদিন এই হাসপাতালে ৫০০ থেকে ৫৫০ জন রোগী রেডিওথেরাপি পেয়ে থাকে। রেডিওথেরাপি কোর্স শেষ করতে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে। আর একজনের পুরো কোর্স শেষ না হলে নতুন রোগী নেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, “এর মধ্যেও প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন করে রোগীর জন্য সুপারিশ থাকে। সবমিলিয়ে আমাদের হিমশিম খাওয়ার অবস্থা। আর সে কারণেই নতুন কোনো রোগী রেডিওথেরাপি নিতে এলে তাকে দুই মাস-তিন মাস পরে আসতে বলা হচ্ছে।”

পরিচালক আরও জানান, যারা মেশিন সরবরাহ করেছে তাদের হিসাবে প্রতিদিন একটি মেশিনে ৬০ জনকে রেডিওথেরাপি দেওয়া যায়। কিন্তু অতিরিক্ত রোগীর চাপে ক্যান্সার হাসপাতালে একটি মেশিনে দিনে কমপক্ষে ১০০ রোগীকে রেডিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, “যেসব মেশিন আছে, তাতে এর বেশি কোনোভাবেই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। পৃথিবীর কোনো দেশে এত লোড নেই।”

হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, ১৯৮৬ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু হয় জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের। ১৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০০৯ সালে। একই অবকাঠামো রেখে ২০১৩ সালে শয্যা সংখ্যা ৩০০তে উন্নীত করা হয়।

শয্যা ও রোগীর সংখ্যা বাড়লেও জনবল বাড়েনি। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ ২২৬টি, কর্মরত আছেন ১৮৯ জন। খালি আছে ৩৮টি পদ।

রেডিওথেরাপির মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদের ২০টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে কর্মরত ১১ জন। কর্মকর্তা-কর্মচারী সব মিলিয়ে এই হাসপাতালের জনবল ১ হাজার ১০ জন।

হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোশাররফ হোসেন বলেন, এই চাপ সামাল দিতে দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার বিকেন্দ্রিকরণ দরকার।

তিনি বলেন, “অন্তত প্রত্যেক বিভাগে একটি করে আধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সম্বলিত বিভাগ থাকলে রোগীর চাপ কমবে। রোগীরাও দ্রুত চিকিৎসা পাবে।”

এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক মোয়াররফ জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতি বিভাগে একটি করে ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে। এটা শেষ হলে রোগীদের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হবে।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

শীতের শুরুতে সতর্কতা

ডিম-আলুর দামে পতন

ক্যান্সার নিয়ে আশঙ্কার চিত্র

খাবারে ‘ট্রান্স ফ্যাট’ ২ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য

খাবারে ‘ট্রান্স ফ্যাট’ ২ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য

দুধে সীসা, ১০ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ৪৭৯২ চিকিৎসক

সাড়ে ৩ লাখ শিশু এইডসে মৃত্যুর ঝুঁকিতে

হতদরিদ্রদের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর অনুদান

মুন্সীগঞ্জে দেশের প্রথম ওষুধ শিল্প পার্ক উদ্বোধন

ওয়াসার পানি পরীক্ষায় ৫ সদস্যের কমিটি

শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের যাত্রা শুরু

দেশে প্রায় ১৫ লাখ শিশু দৃষ্টি স্বল্পতায়

পরিশোধিত পানিতেও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া!

দেশে মানসিক রোগী দুই কোটি, চিকিৎসক দুইশ!

ডাক্তার কেন থাকে না, আক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর

ক্যান্সারাক্রান্ত শিশুদের জন্য বিশেষ তহবিলের দাবি

অতিরিক্ত ওজন বাড়াচ্ছে ক্যান্সার: গবেষণা

মেডিকেলের পরীক্ষায় কেন্দ্রে ঢুকতে হবে আধা ঘণ্টা আগে

দুই ক্যান্সার গবেষকের নোবেল জয়

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3