অস্ত্রোপচারে শিশুর জন্ম বৃদ্ধির কারণ ‘বাণিজ্যিক’
হোসাইন আহমদ সুজাদ, সিলেট প্রতিনিধি হেলথ নিউজ | ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ২৩:১০ | আপডেটেড ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১১:১০
পরবর্তী জটিলতার ঝুঁকি অনেক, তারপরও বাড়ছে কেন অস্ত্রোপচারে শিশুর জন্ম? উত্তরে চিকিৎসকরাই বলছেন, বাণিজ্যিক কারণে অপ্রয়োজনেও ‘সিজারিয়ান সেকশনে’ শিশুর জন্ম বেশি হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য সাময়িকী ল্যানসেটের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে অস্ত্রোপচারে শিশুর জন্ম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি আসে।
বাংলাদেশে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৩০ শতাংশের বেশি শিশুর জন্ম হচ্ছে। তার মধ্যে সবচেয়ে কম সিলেটে হলেও তার হার ১৯ শতাংশ।
সিলেটে বছরে প্রায় ৪৫ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করে। এর মধ্যে অস্ত্রোপচারে প্রায় আড়াই হাজার শিশুর জন্ম হয়। এই আড়াই হাজার শিশুর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে জন্ম হচ্ছে ২০ শতাংশের, বাকি ৮০ শতাংশের জন্ম বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে।
একটি জনগোষ্ঠীতে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সন্তান প্রসবে অস্ত্রোপচারের দরকার হতে পারে। এই হারের বেশি হলে তা অপ্রয়োজনীয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, অস্ত্রোপচারে সন্তান জন্ম দেওয়া নারীর পরবর্তী সন্তান মৃত বা অপরিণত হওয়ার প্রবণতা বেশি। এসব শিশুর অ্যালার্জি ও অ্যাজমার ঝুঁকিও থাকে।
সিলেটের সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রতিটি প্রসবের জন্য নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে। ওই ফরমে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে লিখতে হবে, কেন অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন।
অভিযোগ রয়েছে, এ নীতিমালা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অনেক সময় এড়িয়ে চলে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক মনোভাবের কারণে অস্ত্রোপচারে সন্তান জন্মের সংখ্যা বাড়ছে।
সিলেটের জেলা সিভিল সার্জন হিমাংশু লাল রায় হেলথ নিউজকে বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে রোগী নিজে বা তার আত্মীয় অস্ত্রোপচার করাতে চান। এতে অস্ত্রোপচারের হার বাড়ে। এই হার আরও বেড়ে যায় কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক মনোভাবের কারণে।”
অস্ত্রোপচারে শিশুর জন্মের হার কমাতে মাতৃ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীলতা আরও বাড়ার উচিৎ বলে মনে করেন ডা. হিমাংশু রায়।
তিনি বলেন, “বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক মালিক এবং ডাক্তারদের মনোভাব বদলাতে হবে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রতিটি প্রসবের জন্য নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে। ওই ফরমে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে লিখতে হবে, কেন অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে।”
পাশাপাশি জনসচেতনতার উপর জোর দেন এই চিকিৎসক।
বিষয়: special1
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?