অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারের ১৫টি ব্যবহার
ডেস্ক রিপোর্ট, হেলথ নিউজ | ২৫ মে ২০১৮, ১৭:০৫ | আপডেটেড ২ জুন ২০১৮, ১১:০৬
সাদা ভিনেগারের বহুল ব্যবহারের কথা আমরা জানলেও অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারেরও রয়েছে নানা ব্যবহার। রিডার্স ডাইজেস্ট জানিয়েছে এমনই ১৫টি ব্যবহারের কথা।
পেটের সমস্যা দূর করে
পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারের ব্যবহার অনেক পুরোনো। এতে অ্যান্টিবায়োটিকের মতো উপাদান থাকায় ডায়রিয়ার মতো সমস্যায় পানির সাথে সামান্য পরিমাণে এটা মিশিয়ে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
হেঁচকি বন্ধে
অনেক সময়ই হেঁচকি শুরু হলে কোনো কিছুতেই তা যেন থামতেই চায় না। এরকম ঘটলে এক চামচ ভিনেগার খেতে হবে। এর টক স্বাদ হেঁচকি দূর করতে সহায়তা করে।
গলাব্যথা দূর করতে
গলাব্যথা অনুভূত হওয়া মাত্রই অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া সম্ভব। ভিনেগার যে এসিডিক পরিবেশ তৈরি করে তাতে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণু বাঁচতে পারেনা। গলা ব্যথা দূর করতে ১/৪ কাপ হালকা গরম পানিতে সম পরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে প্রতি ঘণ্টায় গার্গল করতে হবে।
কোলেস্টেরেলের মাত্রা কমাতে
২০০৬ সালে ইঁদুরদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায দেখা যায়, এ ভিনেগারের এসিটিক এসিড কোলেস্টেরেলের মাত্রা কমায়। এমনকি জাপানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে অর্ধেক আউন্স করে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খেলে মানবদেহের কোলেস্টেরেলের মাত্রাও কমতে পারে। তবে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারের সাথে মানবদেহের কোলেস্টেরেলের মাত্রা কমার সম্পর্ক বিষয়ে আরো গবেষণা হওয়া দরকার।
হজমের সমস্যা প্রতিরোধে
কোনো খাবার খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে- এমনটা বুঝলে খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগেই কিছুটা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খেযে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে খেতে হবে।
সর্দি কমাতে
সর্দি দূর করতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারের ব্যবহার খুব উপকারী। এতে পটাসিয়াম রয়েছে যা শ্লেষ্মা কমায় এবং এর এসিডিক এসিড নাক বন্ধের জন্য দায়ী জীবানুর বৃদ্ধি রোধ করে। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া সম্ভব।
ওজন কমাতে
এ ভিনেগার ওজন কমাতেও সহায়তা করে। এর কারণ হলো এ ভিনেগারের এসিডিক এসিড ক্ষুধা কমায় ও বিপাক হার বাড়ায়।
খুশকি দূর করতে
শরীরের পাশিাপাশি ত্বকের জন্যও সমান উপকারী এটি। এতে থাকা এসিড মাথার ত্বকের পিএইচ পরিবর্তন করে এবং এর ফলে খুশকির জন দায়ী ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। স্প্রে বোতলে ১/৪ কাপ পানি ও ১/৪ কাপ ভিনেগার মিশিয়ে মাথার ত্বকে স্প্রে করতে হবে। এরপর তোয়ালে দিয়ে ১৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত মাথা ঢেকে রাখতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুবার করতে হবে কাজটি।
ব্রণ দূর করতে
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগগার প্রাকৃতিক টোনারের ভালো উৎস এবং এটা ব্রণ প্রতিরোধে ভালো কাজ করে। ত্বককে করে তোলে স্বাস্থ্যকর।
এনার্জি লেভেল বাড়াতে
শরীরচর্চা ও কখনও কখনও অতিরিক্ত অবসাদে শরীরে ল্যাকটিক এসিডের তৈরি হয়, যার ফলে শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল। এক্ষেত্রে অ্যাপেল সাইডারের অ্যামিনো এসিড ওষুধের মতো কাজ করে। এতে থাকা পটাসিয়াম ও এনজাইম শরীরের ক্লান্তিবাব দূর করে। ঠান্ডা পানিতে এক বা দু চামচ মিশিয়ে খেলে এনার্জি লেভেল বেড়ে যায়।
পা সংকোচন রোধে
শরীরের পটাসিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ হলো পা সংকোচন। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ অ্যাপেল সাইডার এটা দূর করতে পারে। দু টেবিল চামচ পরিমাণ ভিনেগার ও এক চা চামচ পরিমাণ মধু এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে
সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ ও মাউথওয়াশ ব্যবহার করেও মুখের দুর্গন্ধ দূর করা না গেলে ব্যবহার করতে হবে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। পানিতে মিশিয়ে গার্গল করলে বা এক চামচ ভিনেগার খেলে মুখের দুর্গন্ধ চলে যাবে।
দাঁত সাদা করতে
সকালে অ্যাপল সাইডার দিয়ে গার্গল করলে দাঁতের দাগ কমে যায়, দাঁত সাদা হয় ও মুখের ব্যাকটেরিয়া মারা যায়য়। গার্গল করার পর স্বাভাবিক নিয়মে ব্রাশ করতে হবে।
কালসিটে দাগ দূর করতে
কোনো কিছুর দাগ তুলতে সেখানে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগালে দাগ হালকা হয়ে যায়।
ব্লাড সুগারের মাত্রা কমাতে
কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যপেল সাইডার ভিনেগার রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রখতে পারে। টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কযেকজন ব্যক্তির ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ঘুমানোর আগে দু টেবিলচামচ পরিমাণ এ ভিনেগার খেলে সকালে ব্লাড সুগারের মাত্রা কমে যায়।
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?