আনন্দের ঈদ যেন নিরানন্দের না হয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১৫ জুন ২০১৮, ২৩:০৬ | আপডেটেড ৫ জুন ২০১৯, ০২:০৬
রোজার এক মাস জীবন-যাপন ও খাদ্যাভ্যাস ছিল এক রকম; তা শেষে ঈদের দিনে আগের জীবনযাত্রায় ফেরার সময় সবারই সতর্ক থাকা উচিৎ।
নইলে আনন্দের বদলে নিরানন্দই হতে পারে সঙ্গী। গরমের এই সময়ে ঈদের দিন সতর্কতার সঙ্গে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন এ বি এম আবদুল্লাহ হেলথ নিউজকে বলেন, “ঈদের দিন যত ভালো ও সুস্বাদু খাবারের আয়োজন থাকুক না কেন, মাত্রাজ্ঞান রেখে কিছুটা বিরতি দিয়ে, নিজ স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে খাবার গ্রহণ করা উচিৎ।”
তার মতে, এক মাসের অনভ্যস্ত পাকস্থলী হঠাৎ করে অনেক খাবারের চাপ সহ্য করতে পারে না বলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি হতেও দেখা যায়। এ জন্য খাবার হবে পরিমিত, স্বাস্থ্যসম্মত ও সহজপাচ্য। তবেই ঈদের আনন্দটুকু উপভোগ করা যাবে।
“যারা মাঝবয়েসি বা বয়োবৃদ্ধ বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা আছে, তাদের খাবোরের ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকা উচিত। যাদের হৃদরোগ আছে তারা চর্বি ও ঘি পরিহার করবেন। কিডনির সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা মাছ-মাংস কম খাবেন,” পরামর্শ এই চিকিৎসকের।
ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে অল্প করে সেমাই বা পায়েস খাওয়া ভাল। এগেুলো সঙ্গে কিসমিস, বাদাম, ফলের জুস খেতে পারেন। এর আধা ঘণ্টা পর দেড় থেকে দুই গ্লাস পানি পান করে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ঈদের সকালে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিৎ বলে মনে করেন বারডেম হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ।
তিনি হেলথ নিউজকে বলেন, “রোজায় একভাবে চলার পর ঈদের সকালের খাবার অনেকেই ঠিকমতো খেতে না পারলে এসিডিটি, বুক জ্বালাপোড়া, বদহজম হতে পারে।”
ঈদের দিন দুপুরে যতটা সম্ভব তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. শামসুন্নাহার।
তার পরামর্শ, রাতের খাবার খাওয়ার পর হালকা একটু হাঁটলে ভালো। খাওয়া শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পর পানি খেয়ে নিতে হবে।
যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের চিনি দিয়ে রান্না করা খাবার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কী খাবেন, কী খাবেন না
কার্বনেটেড সফট ড্রিংকস গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। ঈদে মিষ্টি, কেক, বাদাম, চর্বিযুক্ত খাবার যতটা কম খাওয়া যায়। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ, চর্বিযুক্ত খাদ্য, মশলাযুক্ত খাদ্য গ্যাস তৈরি করে এবং বদহজম হয়। এ ছাড়া দুগ্ধজাত খাদ্য পেট ফাঁপায় এবং ভাজাপোড়া বদ হজম, বুকে জ্বালাপোড়া, ওজনবৃদ্ধি করে।
চিকিৎসকদের মতে, খাওয়া-দাওয়ার কারণেই মূলত পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা হয় রমজানের আর ঈদের প্রথম দিনে।
ঈদের দিন একটু চিন্তা করে নিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া করলে এসব সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে। তাই পুষ্টিসম্পন্ন মুখরোচক খাবার দিয়ে ঈদের দিন থেকে সুস্থতার নিয়ম করে নিন।
বিষয়: special
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?