ওজন কমাতে ডায়েট না শরীরচর্চা?
ডেস্ক রিপোর্ট, হেলথ নিউজ | ১৪ এপ্রিল ২০১৮, ২২:০৪ | আপডেটেড ২ জুন ২০১৮, ১১:০৬
ওজন কমানো নিয়ে এখন ব্যতিব্যস্ত সবাই; কত কিছুই না করা হয় এজন্য। কারও মতে, খাওয়া কমালেই ওজন কমানো সম্ভব। আবার কার মতে, শরীরচর্চা ছাড়া এটা অসম্ভব।
আসলে কী- বলছেন দিল্লির ‘নারিশ মি’ প্রতিষ্ঠানের পুষ্টিবিদ মনিষা আশোকন। তার ভাষ্য, ওজন বাড়ার আশঙ্কায় খাবারের প্রতি ভীতি বা সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো এড়িয়ে চলে জীবনযাপন করা সম্ভব নয়। গাড়ির মতো আমাদের শরীরেরও জ্বালানি (খাদ্য) প্রয়োজন। আর এ জ্বালানি হতে হবে পুষ্টিকর। তাই সুস্বাস্থ্য হল সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যের সমন্বয়।
আশোকান বলেন, একজন ব্যক্তি জিমে তিন ঘণ্টা ব্যয় করেও লাভবান নাও হতে পারে, যদি তার খাদ্যাভ্যাস ভালো না হয়। মাত্র ৫ মিনিটে একটা চিজ বার্গার খাওয়া গেলেও এটা যে ক্যালোরি দৈরি করে, তা পোড়াতে জিমে ব্যয় করতে হবে ২ ঘণ্টা। আর ক্যালরি পোড়ানোর এ বিষয়টি নির্ভর করে আমাদের বিপাক প্রক্রিয়ার ওপর।
তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সারাক্ষণ চিন্তা না করে এবং প্রতিবার খাওয়ার পরপরই ওজন মেশিনে না উঠে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া উচিত বিপাক প্রক্রিয়ার হার বাড়ানোর ওপর।
পুষ্টিবিদ মনিষা আশোকান কী বলছেন, দেখে নেওয়া যাক-
১. পানি পান
এটা শুনতে যতটা সহজ মনে হচ্ছে, আসলে তা নয়। সারাদিন ক্যালরি পোড়াতে পানি পান গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে।
২. শরীরচর্চা
শুধু শরীরচর্চা করার সময় যে শরীরের চর্বি পোড়ে, তা নয়। বরং শরীরচর্চা শেষ হয়ে গেলেও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। শরীরের ঘাম শুকিয়ে যাওয়ার পরও পেশিতে অক্সিজেনের মজুদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় আরও বেশি পরিমাণে ক্যালরি ঝরতে থাকে।
৩. নিয়মিত বিরতিতে খাওয়া
একবেলার খাবার বাদ দেওয়ার অর্থ হলো ওজন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য থেকে সরে যাওয়া। নির্দিষ্ট বিরতিতে সঠিক পরিমাণে সঠিক খাদ্যগ্রহণে বিপাক হার বাড়ে। আর এর ফলাফল হলো ওজন কমে যাওয়া।
জিমে দুই ঘণ্টা ব্যয় করার প্রয়োজন নেই। এতে শরীরের উপর চাপ পড়ে। জিমে অতিরিক্ত শরীরচর্চার ফলে শরীর তার শক্তি যোগাতে পেশিকে পুড়িয়ে আরো চর্বি মজুদ করা শুরু করতে পারে। ফলাফল ওজন বৃদ্ধি।
একটা অব্যবহৃত গাড়ির যেমন ব্যাটারি অকেজো হয়ে যায়, আমাদের শরীরেও তাই ঘটে। তাই অতিরিক্ত শরীরচর্চা বাদ দিয়ে আমাদের উচিত প্রতিদিনই আগের দিনের চেয়ে একটু বেশি চলাফেরা করা।
সূত্র: এনডিটিভি
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?