কাশি থামাবে তুলসি চা
ডেস্ক রিপোর্ট, হেলথ নিউজ | ১৮ মে ২০১৮, ০২:০৫ | আপডেটেড ২ জুন ২০১৮, ১২:০৬
জ্বর নেই, কফ নেই, বুকে ঘড় ঘড় শব্দ নেই কিন্তু যখন তখন খুক খুক কাশি। বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক এই শুকনা কাশি দূর করতে তুলসি চা হতে পারে সমাধানের এক সহজ উপায়।
এক কাপ তুলসি চা বানানোর আগে জেনে নিন শুকনা কাশির কারণ।
১. অ্যাজমা
অ্যাজমার অন্যতম একটি লক্ষণ হলো শুকনা কাশি। তাই শুকনা কাশি হলে সতর্ক হওয়া উচিত।
২. গ্যাসট্রোয়েফাগিয়াল রিফ্লাক্স
এটি হলো খাদ্যনালীর একটি বিশেষ ধরণের রোগ। পাকস্থলীর এসিড যখন খাদ্যনালীতে গিয়ে পৌঁছায় তখনই এ রোগ হয়। মুখ থেকে পাকস্থলী পর্যন্ত সংযোগ খাদ্যনালীর মাধ্যমে। আর অতিরিক্ত এসিডের কারণে খাদ্যনালীতে সমস্যা তৈরি করে। আর এর ফলে হতে পারে কাশি।
৩. ভাইরাস সংক্রমণ
ঠাণ্ডা লাগার জন্য দায়ী বিভিন্ন ভাইরাসের কোনো একটির সংক্রমণ হলে কাশি হতে পারে।
৪. পরিবেশগত সমস্যা
ধোঁয়া, দূষণ, ধুলা, রাসায়নিক বিভিন্ন উপকরণের কারণে কাশি হতে পারে।
৫. ধূমপান
ধূমপান শুকনা কাশির অন্যতম কারণ। সিগারেটে থাকা টক্সিন সরাসরি নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে ঢুকে কাশি সৃষ্টি করতে পারে। এসব টক্সিন ফুসফুসে প্রবেশ করে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং শরীর কাশির মাধ্যমে তা বের করে দেয়।
৬. ব্রঙ্কাইটিস
তিন চারদিন ধরে ঠাণ্ডা থাকলে অনেক সময় ব্রঙ্কাইটিস হতে পারে। এ রোগের লক্ষণ হলো শুষ্ক কাশি। কাশি দীর্ঘদিন ধরে থাকলে শ্লেষ্মাও হতে পারে।
শুষ্ক কাশি নিরাময়ের উপায়
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তুলসি পাতার জুড়ি নেই। শুষ্ক কাশি নিরাময়ের ভালো উপায় হলো তুলসি চা। তুলসি চায়ে শুষ্ক কাশিই নয় বরং ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা ও ফুসফুসের রোগেও উপকার পাওয়া যায়।
বানিয়ে নিন এক কাপ তুলসি চা
একটি প্যানে পরিমাণ মত পানি ও ৫-৭টি তাজা ও পরিস্কার তুলসি পাতা দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। এরপর চায়ের কাপে ছেঁকে খেয়ে নিন। চাইলে সঙ্গে দারচিনি, আদা, কালো গোল মরিচ ও মধুও মেশানো যায়। ভালো ফল পেতে খেতে হবে নিয়মিত।
চা যাদের পছন্দ নয় তারা তুলসি পাতার রস করে সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খেতে পারেন রোজ দুই বেলা।
রোজ রোজ তুলসি পাতা কেনার ঝক্কি এড়াতে বাড়ির বারান্দায় লাগাতে পারেন তুলসির গাছ। আর সামান্য যত্নেই তুলসি বেড়ে ওঠে ভালভাবে।
সূত্র: এনডিটিভি
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?