কোন খাবারে কত চিনি
ডেস্ক রিপোর্ট, হেলথ নিউজ | ৩১ মে ২০১৮, ১৭:০৫ | আপডেটেড ২ জুন ২০১৮, ১১:০৬
চিনি হচ্ছে খাবারে যোগ হওয়া এমন একটি উপাদান, যা দীর্ঘদিন ধরে বেশি পরিমাণে খেলে বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা হচ্ছে সহজ একটি শর্করা, যা বিভিন্ন ধরণে পাওয়া যায়। তবে চিনির প্রধান তিনটি ধরণ হলো সুক্রোজ, ল্যাকটোজ ও ফ্রুকটোজ।
শরীরের কোষের কার্যকারিতার জন্য চিনি অপরিহার্য হলেও অতিরিক্ত মাত্রায় এটা গ্রহণ করলেই স্থূলতা, টাইপ টু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও দাঁত ক্ষয়ের মতো স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (এএইচএ) পুরুষদের দৈনিক ৯ চা চামচ (৩৬ গ্রাম) ও নারীদের ৬ চা চামচ (২৪ গ্রাম) পরিমাণের বেশি চিনি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তবে পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গড়ে একজন ব্যক্তি দৈনিক সাড়ে ১৯ চা চামচ বা ৮২ গ্রাম পরিমাণ চিনি খেয়ে থাকে। এক চা চামচ চিনি প্রায় ৪ গ্রামের সমান।
এএইচএ’র মতে, চিনিতে পুষ্টির পরিমাণ কিছুই নেই। যা আছে তা হলো শুধু ক্যালরি, যা ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর তাই খাবার ও পানীয়তে থাকা ও বাড়তি যোগ করা চিনির বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।
২০১৫ সালে প্রকাশিত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালায় শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্কদেরকে প্রতিদিনের ক্যালরি চাহিদায় বাড়তি যোগ করা চিনির পরিমান ১০ শতাংশের চেয়ে কমানোর সুপারিশ করেছে।
জেনে নিন প্রচলিত কিছু খাবারে চিনির পরিমাণ-
চকলেট বার
ডার্ক চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য কম ক্ষতিকর হলেও বাজারে আরো এত ধরনের চকলেট রয়েছে, যাতে প্রচুর চিনি থাকে। যেমন: প্রতি মিল্কি ওয়ে বারে ৫৮ গ্রাম, থ্রি মাস্কেটিয়ারস বারে ৬০ গ্রাম, বাটারফিঙ্গার বারে ৩৭ গ্রাম, মিল্ক চকলেটে ৪২ গ্রাম চিনি থাকে।
কোমল পানীয়
কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এক ক্যান কোকাকোলায় ৭ দশমিক ২৫ চা চামচ, স্প্রাইটে ৭ দশমিক ৬১ চা চামচ চিনি থাকে। এএইচএ’র সাময়িকী সার্কুলেশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় দৈনিক এক ক্যানের বেশি সোডা গ্রহণের সাথে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল
বর্তমানে ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল খুবই জনপ্রিয়। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মাত্রার চিনিযুক্ত যেসব খাবার সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো এ সিরিয়াল। জনপ্রিয় কিছু সিরিয়ালের প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ পরিবেশনে চিনির পরিামাণ হলো- কর্ণফ্লেক্সে ১ দশমিক ৯৩ চা চামচ পরিমাণ, কোকোয়া ক্রিসপিয়েসে ৭ দশমিক ৮৩ চা চামচ, স্পেশাল কে তে প্রায় আড়াই চা চামচ পরিমাণ, ব্যানানা নাট ক্রাঞ্চে প্রায় সাড়ে তিন চা চামচ।
ফল
ফলে বাড়তি কোনো চিনি যোগ করা না থাকলেও এতে ফ্রুকটোস নামক বিশেষ ধরনের চিনি থাকে। ফল খাওয়া স্বাস্থসম্মত হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে তা স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ফলে কী পরিমাণ চিনি থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতি ১০০ গ্রাম পরিবেশন আমে থাকে দুই দশমিক ৭৭ চা চামচ, কলায় ২ দশমিক ৪৮ চা চামচ, আপেলে ২ দশমিক ১১ চা চামচ, আনারসে ২ চা চামচ, পেয়ারায় ৩ দশমিক ১৪ চা চামচ পরিমাণ চিনি তাকে।
ছবি: মিজানুর রহমান
সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?