খাবারে ‘ট্রান্স ফ্যাট’ ২ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১২ জুন ২০২৩, ১৭:০৬ | আপডেটেড ১২ জুন ২০২৩, ০৫:০৬
২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যের ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২৩ সালের মধ্যে ট্রান্স-ফ্যাটি এসিড (টিএফএ) মুক্ত বিশ্ব অর্জনের লক্ষ্যের সাথে যোগ দিয়ে এ ঘোষণা দিলেন মন্ত্রী। রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, প্রগতির জন্য জ্ঞান- প্রজ্ঞা এবং কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত ‘ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করি, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাই‘ শীর্ষক অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটের সর্বোচ্চ মাত্রা ২ শতাংশ নির্ধারণ করতে নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা জরুরি।
“পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় ঘোষিত সময়ের মধ্যে খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা ২ শতাংশে নামিয়ে আনা যাবে।”
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগের কারণে মারা যায়, যার অন্যতম কারণ এই ট্রান্স ফ্যাট।
উচ্চ মাত্রায় ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ হৃদরোগজনিত মৃত্যু ঝুঁকি বৃদ্ধি করে বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।
সংস্থাটির মতে, বিশ্বে প্রতিবছর এক কোটি ৭৯ লাখ মানুষ হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে, যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষের শিল্পোৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণের কারণে মৃত্যু হয়ে থাকে।
এখনও ৫০০ কোটি মানুষ শিল্পোৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণজনিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, যাদের অধিকাংশই বাস করে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘রিপ্লেস অ্যাকশন’ প্যাকেজ ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে শিল্পোৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাটমুক্ত বিশ্ব অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ২০২৩ সালের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে অনুষ্ঠানে সবাই একমত পোষণ করেন।
আমদানি পর্যায়ে যেসব তেলে উচ্চ মাত্রার ট্রান্স ফ্যাট বা ট্রান্স ফ্যাটি এসিড পাওয়া যাবে সেগুলো আমদানি নিরুৎসাহিত করা প্রয়োজন উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ হৃদরোগ, স্ট্রোক ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এবং রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, “ট্রান্স ফ্যাট এক ধরনের অসম্পৃক্ত চর্বি বা আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত এলডিএল (লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে, অপরদিকে এইচডিএল (হাই-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়।
অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার আব্দুল মালিক বলেন, “এখন ৫০ বছর বয়সের নিচে প্রচুর মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যার অন্যতম কারণ ট্রান্স ফ্যাট।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির দৈনিক ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণের পরিমাণ হওয়া উচিত মোট খাদ্যশক্তির ১ শতাংশের কম, অর্থাৎ দৈনিক ২০০০ ক্যালরির ডায়েটে তা হতে হবে ২ দশমিক ২ গ্রামের চেয়েও কম।
বিষয়:
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?