জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে বছরে ৬ হাজার মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:০৯ | আপডেটেড ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:০৯
বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ হাজার নারী জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে এবং বছরে মৃত্যু ঘটছে ৬ হাজার জনের।
‘জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জাতীয় কৌশলপত্র বাংলাদেশ ২০১৭-২০২২’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীর মধ্যে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিতীয় অবস্থানে।
এই ক্যান্সার মূলত মানবদেহের প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) কারণে হয়।
ইউনাইটেড নেশন্স ফান্ড ফর পপুলেশন অ্যাক্টিভিটিসের তথ্য তুলে ধরে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রায় ৯০ ভাগ এইচপিভি সংক্রমণ মানবদেহের হরমোনের মাধ্যমে দূর হয়। তবে বেড়ে যাওয়া সংক্রমণ জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে পরিণত হয়।
জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে পরিণত হতে সংক্রমণের পর প্রায় ১০ বছর সময় লাগে বলে আগে ধরা পড়ে না।
তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রত্যেক নারীর জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের স্ক্রিনিং করা এবং টিকা নেওয়া।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেন, ক্যান্সার এখন সারাবিশ্বেই একটি সমস্যা। কর্মকৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তার সফলতা আসবে।
“শুধু পরিকল্পনায় এত বড় সমস্যার সমাধান হবে না এবং বাল্যবিবাহের কারণে নারীরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালার কৌশলপত্র ২০১৭-২০২১ অনুসারে এ পর্যন্ত ২০ লাখ নারীকে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া আরও ২ কোটি ৭০ লাখ নারী এর আওতায় আনার কাজ চলছে। টিকাদান কর্মসূচিও চলছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনোকোলজিকাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আশরাফুজ্জামান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক সুলতান মো. শামসুজ্জামান, বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বারদান জং রানা, ইউএনএফপিএ’র স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ড. সত্যনারায়ণ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাবলু কুমার সাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জাতীয় নীতিমালার কৌশলপত্র ২০১৭-২০২২’র মোড়ক উন্মোচন করেন।
বিষয়: special2
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?