ঠাণ্ডা না গরম- কোন দুধ বেশি উপকারী?
ডেস্ক রিপোর্ট হেলথ নিউজ | ১২ জুন ২০২৩, ১৭:০৬ | আপডেটেড ১২ জুন ২০২৩, ০৫:০৬
আদর্শ খাবারের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকে দুধের নাম। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, পটাসিয়ামসহ আরো অনেক কিছুর ভালো উৎস দুধ। পুষ্টিকর এ খাবারটি একেকজন একেকভাবে খেয়ে থাকেন। কেউ গরম দুধ খেতে পছন্দ করেন, আবার কেউ করেন ঠাণ্ডা।
কিন্তু ঠাণ্ডা এবং গরম দুধের মধ্যে তাহলে তফাত কোথায়? সত্যিই কি ঠাণ্ডা বা গরম দুধের মধ্যে স্বাস্থ্যকর উপাদানে কোনো পার্থক্য রয়েছে- সেই খবর মিলল এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, দুধ ঠাণ্ডাই হোক আর গরমই হোক- তাতে এর পুষ্টিমানের কোনো পরিবর্তন হয় না।
ম্যাক্রোবায়োটিক পুষ্টিবিদ শিল্পা অরোরা বলেন, “গরম বা ঠাণ্ডা দুধ ভালো না খারাপ, তা নির্ভর করে আবহাওয়া ও কখন খাওয়া হচ্ছে সে সময়ের ওপর।
“গ্রীষ্মকালে দিনের বেলা ঠাণ্ডা দুধ খাওয়া উপকারী কারণ এতে শরীর শীতল হয়। অন্যদিকে শীতকালে ঠাণ্ডা দুধ না খেয়ে বরং হালকা হলুদ মেশানো গরম দুধ খাওয়া উচিত। এটা শরীরকে উষ্ণ রাখে।”
আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করেই দুধ খাওযা উচিত বলে মনে করেন শ্রী বালাজি অ্যাকশন মেডিকেল ইনস্টিটিউটের প্রধান পুষ্টিবিদ প্রিয়া ভার্মাও।
তার মতে, ভুল সময়ে ভুলভাবে দুধ খেলে ঠাণ্ডা লাগাসহ আরো কিছু শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
গরম দুধের উপকারিতা
গরম দুধ খাওয়ার সবচেয়ে বড় উপকারিতা হল এটা সহজেই হজম হয় এবং ডায়রিয়া ও পেটফাঁপার মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে। গরম দুধে ট্রিপটোফ্যান নামক এক ধরনের অ্যামিনো এসিড থাকায় ভালো ঘুমও হয়।
ঠাণ্ডা দুধের উপকারিতা
ঠাণ্ডা দুধেরও রয়েছে বেশ কিছু উপকারিতা। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা এসিড সৃষ্টি হতে দেয় না এবং শরীরে সৃষ্ট হওয়া অতিরিক্ত এসিড শুষে নেয়। এতে থাকা ইলেকট্রোলাইটস পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করে। তবে হজমে সমস্যা সৃষ্টি করার সম্ভাবনা থাকায় ঘুমের আগে এটা না খাওয়াই ভালো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তি বিশেষে একেক জনের হজমশক্তি ভিন্ন হতে পারে। তাই হজমের সমস্যা থাকলে ঠাণ্ডা বা গরম যে কোনো ভাবে খেলেই তা সমস্যা তৈরি করবে। বিষয়টি মাথায় রেখে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই খাওয়া উচিত।
বিষয়:
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?