ঢাকায় ১৪টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বন্ধে আদালতের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:০৯ | আপডেটেড ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:০৯

HC-Ctg-Edit

ঢাকার মোহাম্মদপুরে অনুমোদন ছাড়াই কাজ চালিয়ে যাওয়া ১৪টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার দ্রুত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 

জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

হুমায়ুন রোড, বাবর রোড ও খিলজি রোডের অনুমোদনহীন এসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হল-  বিডিএম হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, জনসেবা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়েল মাল্টিস্পেশালিস্ট হসপিটাল, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল, মনমিতা মেন্টাল হসপিটাল, প্লাজমা মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মেন্টাল হসপিটাল, ক্রিসেন্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, নিউ ওয়েল কেয়ার হসপিটাল ও বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজইড হসপিটাল।

লাইসেন্স ছাড়া বা অনুমোদনহীনভাবে পরিচালতি এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনা বন্ধে ‘বিবাদীদের ব্যর্থতা বা নিস্ক্রিয়তা’ কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে পরিচালিত এই ১৪টি হাসপাতালের পরিচালকদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছে আদালত।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আট বিবাদিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান খোকন।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, মোহাম্মদপুরের ‘৫০০ মিটারে ২৬টি, ১৪টিই অবৈধ হাসপাতাল’ শিরোনামে গত ২০ এপ্রিল দৈনিক বণিক বার্তা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে এই রিট আবেদন করে।

তিনি বলেন, “চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালগুলোকে লাইসেন্স নিতে হয়। লাইসেন্স ছাড়া কেউ যদি হাসপাতাল বা ক্লিনিক চালায় তাহলে শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় এ কাজগুলো চলছে। তাদের নিস্ক্রিয়তার কারণে আদালতে এসে মামলা করতে হয়েছে।”

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮২ সালের ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশনস) অর্ডিন্যান্সে বলা আছে, কোনো হাসপাতালে রোগীপ্রতি অন্তত ৮০ বর্গফুট ফ্লোরস্পেস থাকতে হবে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অপারেশন থিয়েটারের পাশাপাশি শয্যাসংখ্যার বিপরীতে নির্দিষ্ট সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স থাকতে হবে। সেই সঙ্গে অপরিহার্য হিসেবে ঘোষিত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সব ঠিকঠাক থাকলেই কেবল কার্যক্রম চালাতে পারবে বেসরকারি কোনো হাসপাতাল।

“বিডিএম ও সেবিকা জেনারেল হাসপাতালের মতোই মোহাম্মদপুরের বাবর রোড, খিলজি রোড ও হুমায়ুন রোডের অসংখ্য বেসরকারি হাসপাতাল কার্যক্রম চালাচ্ছে লাইসেন্সের এসব শর্ত পূরণ ছাড়াই। শর্ত পূরণ না হওয়ায় লাইসেন্সও নবায়ন হয়নি। ফলে অবৈধ হয়ে পড়েছে এসব হাসপাতাল। এ তিন সড়কের মাত্র ৫০০ মিটারের মধ্যেই যার সংখ্যা ১৪। আর লাইসেন্স রয়েছে এমন হাসপাতালসহ এ সংখ্যা ২৬।”

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ এসব হাসপাতাল গড়ে তোলার পেছনে রয়েছেন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কখনো নিজের নামে, কখনো অন্যের নামে তারা এসব হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন।

“হুমায়ুন রোডের বিডিএম হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠা সাত চিকিৎসকের হাতে। এদের মধ্যে একজন পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক। বাকিরাও সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক। চিকিৎসকদের মালিকানায় গড়ে ওঠা হাসপাতালটির অধিকাংশ রোগীই পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ভাগিয়ে আনা। কাজটি করছেন হাসপাতালটির মালিকানায় থাকা চিকিৎসকরা নিজেই।”

হাসপাতালের অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নবায়নও তারাই করে। প্রতি বছর ৩০ জুনের মধ্যে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। পরিদর্শন করে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নবায়ন করা হয়। লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে হাসপাতালের পর্যাপ্ত জনবল, যন্ত্রপাতি, হালনাগাদ পরিবেশ ছাড়পত্র, আয়কর সনদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র দেখাতে হয়।

অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) অধ্যাপক ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেনকে উদ্ধৃত করে বণিক বার্তার প্রতিবেদনে বলা হয়, “নবায়ন না করে হাসপাতালের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেই। এ ক্ষমতা এখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চাইলে যে কোনো সময় অভিযান চালিয়ে হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।”

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

জুলাই বিপ্লবে আহতদের সুচিকিৎসায় থাকবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১৪টি হাসপাতাল থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ

দিল্লির বায়ুদূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা

ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু

বিষাক্ত ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন দিল্লি

খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যসেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছুঁই ছুঁই

টেকনাফে আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি ১৫১২ রোগী

গ্যাসের ওষুধের এত বিক্রি! কেন?

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু

রক্তদাতার সন্ধান মিলবে অ্যাপে

স্বাস্থ্যখাতে চীনা বিনিয়োগের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ডেঙ্গু: ১৮৯৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি

দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা একটি চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৭৯৪ জন

ডিম-আলুর দামে পতন

ডেঙ্গুতে প্রাণহানি ১৪০০ ছাড়াল

সুস্থ আছে প্রথম টেস্ট টিউব শিশু ‘দানিয়া’

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3