দেশের সাড়ে ৩ কোটি শিশু সিসা দূষণের শিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ২২:১০ | আপডেটেড ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১০
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারে সিসার বিষক্রিয়া নিয়ে গবেষণা চালানোর তাগিদ এসেছে এক জাতীয় সংলাপে।
আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে বেসরকারি খাতের সঙ্গে এ জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) ফাহমিদা খানম বলেন, “আমাদের খাবারে সিসা ঢুকে গেছে। কিভাবে এটি খাবারে ঢুকলো, সে বিষয়ে গবেষণা প্রয়োজন।”
নীতিমালা তৈরির মাধ্যমে সিসার দূষণ ঠেকানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “যেসব পণ্যে সিসা আছে, সেসব পণ্যে লেবেল ব্যবহার করতে হবে। সেখানে কী পরিমাণ সিসা আছে- তা উল্লেখ করে দিতে হবে। তাহলে মানুষ সচেতন হবে, এসব পণ্য কম ব্যবহার করবে।”
সিসার ব্যবহার হচ্ছে- এমন সব প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে আনার তাগিদও দিয়েছেন ফাহমিদা খানম।
জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগ তৈরি করা সিসা বিষক্রিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। বছরে হাজারো মৃত্যুর পাশাপাশি লাখো মানুষের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি করছে সিসা দূষণ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদের বলেন, “উন্নয়ন পরিকল্পনায় আমরা এখন দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্ব দিচ্ছি। কিন্তু সিসা নারী-পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। সিসা দূষণ আমাদের হিউম্যান রিসোর্সে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। সেজন্য এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে।”
অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালের এক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে ইউনিসেফ বাংলাদেশের উপ-প্রতিনিধি ইমা ব্রিগহাম বলেন, “বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ শিশু সিসা দূষণের শিকার।
“সিসার বিষক্রিয়ায় শিশুদের মস্কিষ্কের বিকাশ কমে যায়। শিশুদের বিকাশ ও সুরক্ষা নিশ্চিতে সিসা দূষণ প্রতিরোধ করতে হবে।”
বিষয়: special4
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?