দেশে বেড়েছে ক্যান্সারে মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:০৯ | আপডেটেড ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:০৯

liver

২০১২ সালে যেখানে বাংলাদেশে ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৯১ হাজার; পাঁচ বছর পরে এসে সেই সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার।  

ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের ( আইএআরসি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে (গ্লোবোক্যান ২০১৮) প্রাণঘাতী ক্যান্সারের এই আশঙ্কার চিত্র ফুটে উঠেছে।

সেন্টার ক্যান্সার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ (সিসিপিআর) এবং কমিউনিটি অনকোলজি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশে নতুন করে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৭৮১ জন, ২০১২ সালে যে সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার।

প্রতিবছর নতুন ক্যান্সারাক্রান্ত মোট ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৮১ জন রোগীর মধ্যে পুরুষ ৮৩ হাজার ৭১৫ এবং নারী ৬৭ হাজার ৬৬ জন নারী। দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৫৩ জন ধরে এই হিসাব করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে শীর্ষ ৫টি ক্যান্সার হলো- খাদ্যনালীর ক্যান্সার ( ২০ হাজার ৯০১ জন ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ) , ঠোঁট ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার ( ১৩ হাজার ৪০১জন, আট দশমিক নয় শতাংশ), স্তন ক্যান্সার ( ১২ হাজার ৭৮৪ জন, আট দশমিক পাঁচ শতাংশ), ফুসফুস ক্যান্সার ( ১২ হাজার ৩৭৪ জন, আট দশমিক পাঁচ শতাংশ) এবং জরায়ু মুখের ক্যান্সার ( আট হাজার ৬৮ জন, পাঁচ দশমিক চার শতাংশ)।

পুরুষদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে খাদ্যনালীর ক্যন্সার ( ১৩ হাজার ৪৮৩ জন, ১৬ দশমিক এক শতাংশ), ফুসফুস ক্যান্সার ( নয় হাজার ২৫৪ জন, ১১ দশমিক এক শতাংশ), ঠোঁট ও মুখ গহ্বরের ক্যন্সার আট হাজার ৮৯৫জন , ১০ দশমিক ছয় শতাংশ), গলবিল বা হাইপোফ্যারিংস ক্যান্সার ( ৬ হাজার ৫৪ জন, সাত দশমিক দুই শতাংশ) ও পাকস্থলীর ক্যান্সার ( ৪ হাজার ৭৯২ জন, পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ)।

নারীদের ক্যান্সারের শীর্ষে রয়েছে স্তন ক্যান্সার ( ১২ হাজার ৭৬৪ জন, শতকরা ১৯ শতাংশ), জরায়ু মুখের ক্যন্সার ( ৮ হাজার ৬৮ জন, ১২ শতাংশ), খাদ্যনালীর ক্যান্সার ( ৭ হাজার ৪২৩ জন, ১১ দশমিক ১ শতাংশ), পিত্ত থলির ক্যান্সার ( ৫ হাজার ২৬১ জন, সাত দশমিক আট শতাংশ) এবং ঠোঁট ও মুখ গহ্বরের ক্যন্সার ( ৪ হাজার ৫০৬ জন, ছয় দশমিক সাত শতাংশ)।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ও সিসিপিআর এর উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, ক্যান্সার গবেষণার দায়িত্বপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসি বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে ক্যান্সার রেজিস্ট্রি থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই ও সমন্বয় করে গ্লোবোক্যান নামে এই ডাটাবেজ প্রকাশ করে, যেখানে বাংলাদেশসহ ১৮৫ দেশের অনুমিত হিসেব দেওয়া থাকে।

তিনি বলেন, “আমাদের দেশে হাসপাতালভিত্তিক এই প্রতিবেদনের শীর্ষ পাঁচ ক্যান্সারের ক্রমবিন্যাসের গড়মিল রয়েছে। কিন্তু জনগোষ্ঠীভিত্তিক নিবন্ধন আমাদের না থাকায় এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করলেও তা প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ নেই।”

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহায়তা বরাদ্দ কমছেনা

দুদিন পর বাসায় যেতে পারবেন তামিম

হার্ট অ্যাটাক: যে ৬টি লক্ষণে সচেতন হবেন

পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন তামিম ইকবাল

চিকিৎসকদের জন্য ‘বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিসেস’ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করবে সংস্কার কমিশন

ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে সেবা দিতে ১৬ নির্দেশনা

কোলোরেক্টাল ক্যানসার: কোন লক্ষণে সতর্ক হবেন

নার্সিংয়ে ভর্তি, আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন

টঙ্গীতে চালু হলো ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’

মশা নিয়ন্ত্রণে থাকবেন সাড়ে ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদল

ভিটামিন-এ প্লাস: পাবে সোয়া ২ কোটি শিশু

কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসকদের শাটডাউন, ভোগান্তিতে রোগীরা

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ২০ শহরের ১৯টিই এশিয়ার

৪১ জেলায় নতুন সিভিল সার্জন

রোজা রেখে পর্যাপ্ত ঘুমানো জরুরি

হত্যার হুমকি সাংবাদিক বোরহানুল হককে

বিএসএমএমইউয়ে অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট চালু

জলবায়ু পরিবর্তন: আসছে তীব্র গরম-তাপপ্রবাহ

জুলাই বিপ্লবে আহতদের সুচিকিৎসায় থাকবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3