দেশে মানসিক রোগী দুই কোটি, চিকিৎসক দুইশ!
নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১০ অক্টোবর ২০১৮, ২১:১০ | আপডেটেড ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১২:১০
১৬ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশে দুই কোটির বেশি মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত; অথচ তাদের চিকিৎসায় চিকিৎসক মাত্র দুইশর কিছু বেশি।
মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বুধবার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, চিকিৎসকের অপ্রতুলতা এবং সচেতনতার অভাবে মনসিক রোগের চিকিৎসার আওতায় বাইরে থেকে যাচ্ছেন বেশিরভাগ রোগী।
মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক আলম বলেন, “দেশে সোয়া দুই কোটি মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে জরিপ চালিয়ে জানা গেছে। আর সারা দেশে মনোরোগ চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ২৩০ জন।”
এই অপ্রতুল চিকিৎসকদের কাছে থেকে মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ রোগী সেবা পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে ১৮ বছরের ঊর্ধে ১৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগে ভুগছে। এই বয়সের চেয়ে কম বয়সীদের মধ্যে রয়েছে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
কিশোরদের মনোবিকাশ নিয়ে সমাজের মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবের কথা বলেন তিনি। তার ভাষ্য, অভিভাবকদের আচরণ ও বাবা-মায়ের পারস্পরিক দ্বন্দ্বের প্রভাবও গিয়ে পড়ছে সন্তানের ওপর।
মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, “মানসিক রোগ বেড়ে গেলেও তা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি অপ্রতুল।”
একাডেমিক পর্যায়ে সিলেবাস থেকেও মনোরোগ বিষয়ক পড়শোনা কমে যাচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, “আমাদের অনেক মেধাবী ডাক্তার থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে গ্রামাঞ্চলে পাঠানো যাচ্ছে না। এ কারণেই চিকিসা সেবা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।।”
বিষয়: special3
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?