নানা কর্মসূচিতে পালিত ডায়াবেটিস দিবস
নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধি, হেলথ নিউজ | ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ২১:১১ | আপডেটেড ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:১১
শোভাযাত্রা, আলোচনা অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে পালিত হল বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার এসব কর্মসূচি থেকে ডায়াবেটিস নিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
ঢাকার সেগুন বাগিচায় বারডেম হাসপাতালে শৈশবকালীন ডায়াবেটিক প্রতিরোধ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
ঢাকায় এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সংগঠনগুলোর উদ্যোগে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের উদ্যোগে ও নভোনরডিক্স ফার্মার সহযোগিতায় সকালে হাসপাতালের হলরুমে কর্মশালা এবং কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা হয়।
কর্মশালায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পরিবারের উপর ভূমিকা নিয়ে হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রধান ডা. মো. শাহ এমরান আলোচনা করেন।
বক্তব্য রাখেন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. এন কে সিনহা, মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এএফএম নাজমুল ইসলাম, ডা. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিশ্বে ৪২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ডায়েটিকসে ভুগছে। অথচ শৃঙ্খলা ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই ডায়াবেটিস ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব, এখানে ওষুধের ভূমিকা খুব কম।
কর্মশালা শেষে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. এন কে সিনহা বেলুন উড়িয়ে ডায়াবেটিস দিবসের পদযাত্রার উদ্বোধন করেন।
রাজশাহীতে ‘ডায়াবেটিস প্রতিটি পরিবারের উদ্বেগ’ স্লোগানে ডায়াবেটিস কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্যোগে শোভাযাত্রা বের হয়। এতে অংশ নেন কেন্দ্রের পরিচালক ডা. এফ.এম.এ জাহিদ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র শরিফুল ইসলাম বাবু, উপাধাক্ষ্য কামারুজ্জামান।
ডা. এফএমএ জাহিদ দিবসটি পালনের গুরুত্ব তুলে ধরে হেলথ নিউজকে বলেন, শৃঙ্খলার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এনে জটিলতাবিহীন জীবন যাপন করা যায়।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা জানি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত না থাকলে চোখের রক্তক্ষরণ হয়ে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। ঠিক তেমনিভাবে হাত-পা শির শির করা, অবশ হয়ে যাওয়া, যাকে আমরা পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বলি, এমন কি অজান্তেই ফসকা পরে পরিশেষে পা হারাতে হয়। ঠিক এমনিভাবে নীরব হার্ট এ্যাটাক হয় এবং কিডনি নষ্ট হয়ে যায়।”
ডা. জাহিদ বলেন, “আমাদের সমাজে সাধারণত যে ধরনের ডায়াবেটিস দেখা যায় যেমন, টাইপ-১ বা ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিস যা ৩০ বৎসরের কম বয়সের মানুষের হয়। যার শরীরে কোনো ইনসুলিন থাকে না, বেঁচে থাকতে হলে ইনসুলিন নিতেই হয়, এরা কৃশকায়, আমাদের দেশে এর পরিমাণ ১০ হাজারে একজন।
“আমাদের পারিবারিক জীবনের সঙ্গী হচ্ছে যে ডায়াবেটিস, তা হচ্ছে ডায়াবেটিস টাইপ-২। বেশির ভাগ লোকই জানে যে ঘন ঘন প্রস্রাব, বেশি খিদে পাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্তি বোধ করা, চামড়া শুকিয়ে যাওয়া বা ঘা পচড়া ইত্যাদি না শুকানো এবং চোখে কম দেখতে পাওয়া ইত্যাদি ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এই ধরনের ডায়াবেটিস ভালোমতো নিয়ন্ত্রিত থাকলে এর জটিলতাবিহীন জীবন যাপন করা যায়।
“আর গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে কোনো লক্ষণ থাকে না। পেটে বাচ্চা আসলে মহিলা চিকিৎসকের কাছে নিয়মিত চিকিৎসার সময় তা ধরা পড়ে। এ জাতীয় ডায়াবেটিস এর চিকিৎসা ইনসুলিন দিয়েই করতে হয় তবে সু-খবর এই যে, বাচ্চা প্রসব হয়ে গেলেই ভালো হয়ে যায়।”
রাজশাহী ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রাইনলজি বিভাগের আয়োজনে নগরীর লক্ষ্মীপুরেও শোভাযাত্রা বের হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী, উপাধ্যক্ষ বুলবুল আহমেদ, মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান খান বাদশাহ, হেপাটলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হারুণ আর রশীদ, শিশু বিভাগের প্রধান ডা. সানাউল হক মিঞা, গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. সায়লা জেসমিন প্রমুখ।
শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ও বিনামূল্যে ডায়াবেটিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা এবং ইনসুলিন বিতরণ করা হয়।
বিষয়: special
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?