বাবা-মার বিচ্ছেদে মুটিয়ে যায় শিশুরা!
ডেস্ক রিপোর্ট, হেলথ নিউজ | ৭ জুলাই ২০১৯, ২১:০৭ | আপডেটেড ৭ জুলাই ২০১৯, ০৯:০৭
বাবা-মার বিচ্ছেদের কারণে সন্তানের মানসিক সমস্যায় পড়ার কথা আগে থেকেই জানা, এখন নতুন কথা শোনালেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা।
বাবা-মার বিচ্ছেদ শিশুদের শারীরিক অবস্থার উপরও যে প্রভাব ফেলে, তাই বের করেছেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের গবেষকরা।
তারা বলছেন, যে সব বাবা-মার বিচ্ছেদ হয়েছে, তাদের সন্তানদের মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা একসঙ্গে থাকা বাবা-মায়ের সন্তানদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি।
২০০০ ও ২০০২ সালে জন্ম নেওয়া সাড়ে সাত হাজার শিশুর পরিণত জীবনের উপর গবেষণা চালিয়ে এই ফলাফল পাওয়া গেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, সন্তানের শারীরিক সুস্থতার জন্যও যে পরিবার অটুট থাকা প্রয়োজন, এই গবেষণা তাই মেলে ধরেছে।
বিচ্ছেদ কী কারণে শিশুদের মুটিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, তার কিছু কারণও দেখিয়েছেন গবেষকরা।
তারা বলছেন- বিচ্ছেদের কারণে বাবা-মার অনাগ্রহে তাজা ও ফল ও শাকসবজি খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় শিশুরা: বিচ্ছেদের পর বাবা কিংবা মা অর্থ রোজগারে তাদের কর্মস্থলে বেশি সময় দেয়, ফলে শিশুরা পায় না পর্যাপ্ত যত্ন; খেলাধুলা কিংবা এই ধরনের কাজে শিশুদের জন্য বাবা-মার অর্থ ব্যয় কমে যায়; শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়ার বদলে সহজে পাওয়া জাঙ্ক ফুডে অভ্যস্ত করে তোলেন বাবা কিংবা মা।
গবেষণার জন্য নির্বাচিত শিশুদের নয় মাস, পাঁচ বছর, সাত বছর, ১১ বছর ও ১৪ বছর বয়সের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বিচ্ছেদের কারণে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতাটি খুঁজে পেয়েছেন।
তাতে দেখা গেছে, বাবা-মার বিচ্ছেদের ২৪ মাসের মধ্যে তাদের সন্তানদের মুটিয়ে যাওয়ার হার বেশি।
তাই বিচ্ছেদের পরপরই সন্তানের স্বাস্থ্যের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
বিষয়: special1
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?