বায়ু দূষণে ‘হেলথ অ্যালার্ট’ জারির সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ৬ মার্চ ২০১৯, ২৩:০৩ | আপডেটেড ৬ মার্চ ২০১৯, ১১:০৩

IMG_0594

কোনো এলাকার বায়ু দূষণের মাত্রা ৩০০ এর উপরে উঠলে হেলথ অ্যালার্ট জারি করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

বুধবার সংসদ ভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে এই সুপারিশ করা হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) ৩০০ ছাড়িয়ে গেলে সেটা ‍বিপজ্জনক। এ ধরনের পরিস্থিতি হলে অনেক দেশেই হেলথ অ্যালার্ট জারি করা হয়।

তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরে এই মাত্রা ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছিল। এই মাত্রা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটা হলে জনগোষ্ঠী কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে শিশুদের উপর এর প্রভাব সব থেকে বেশি পড়ে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে অনেক দেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।”

এ কারণে দূষণের মাত্রা ৩০০ পেরিয়ে গেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেন ‘হেলথ এমার্জেন্সি’ জারি করে, সংসদীয় কমিটি সেই সুপারিশ করেছে বলে জানান সাবের চৌধুরী।

তিনি বলেন, “বায়ু দূষণ রোধে আমরা স্বাস্থ্য, গণপূর্ত, এলজিআরডি, স্বরাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করার কথা বলেছি। মন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তারা আমাদের সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেননি।”

সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, জাফর আলম এবং রেজাউল করিম বাবলু বৈঠকে অংশ নেন।

বাতাসে ভাসমান বস্তুকণার (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম) পরিমাপ করা হয় প্রতি ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রাম (পিপিএম-পার্টস পার মিলিয়ন) এককে। এসব বস্তুকণাকে ১০ মাইক্রোমিটার ও ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাস শ্রেণিতে ভাগ করে তার পরিমাণের ভিত্তিতে ঝুঁকি নিরূপণ করেন গবেষকরা।

বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়।

এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের এবং ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়।

পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-৫০০ হলে ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

আইকিউএয়ার, এয়ারভিজুয়াল ও গ্রিনপিসের এক যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে মঙ্গলবার বলা হয়, সারা বছরের গড় দূষণের মাত্রা বিবেচনায় নিলে বিশ্বে বাংলাদেশের বাতাসই সবচেয়ে বেশি দূষিত। আর রাজধানী শহরগুলোর মধ্যে দিল্লির পরই ঢাকার অবস্থান। 

২০১৭ সালে বিশ্ব ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু বায়ু দূষণের নেতিবাচক প্রভাবেই বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমে যাচ্ছে।

দূষণের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে এক লাখ ২২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয় বলে ‘বৈশ্বিক বায়ু পরিস্থিতি ২০১৭’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের তথ্য।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় ৮ জনের মৃত্যু

৫১ বছরে ৯৯ কোটি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে

ডেঙ্গু: একদিনে ভর্তি ১৮১৮ জন, মৃত্যু ৬

বিএসএমএমইউতে প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম

একদিনে হাসপাতালে ভর্তি ১৪৩১ ডেঙ্গু রোগী

ডেঙ্গুতে রাজধানীতে মৃত্যু বেশি

দূষিত বায়ুতে দিল্লি

‘মানসিকভাবে সুস্থ থাকে রাত জেগে মোবাইলের ব্যবহার নয়’

বার্ধক্য ডেকে আনে যেসব খাবার

দেশের সাড়ে ৩ কোটি শিশু সিসা দূষণের শিকার

ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০০ জনের

অনির্ণেয় রোগ নির্ণয় করেন যে চিকিৎসক

বাসাবাড়িতে ছিটানো হবে লার্ভিসাইড বিটিআই

ডেঙ্গুতে চিকিৎসকের মৃত্যু

ডেঙ্গু: ৬২% রোগী ঢাকার বাইরের

গর্ভ ভাড়া দিয়ে মা হন এই তরুণী

হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ৬০ হাজার ছাড়াল

ডেঙ্গুতে মৃত্যু আগের সব হিসাব ছাড়াল

থ্যালাসেমিয়ার বিস্তার রোধে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ

দেশে প্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ কবে?

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3