বিশ্বে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৭৫ হাজার
ডেস্ক রিপোর্ট, হেলথ নিউজ | ১ এপ্রিল ২০২০, ০০:০৪ | আপডেটেড ১ এপ্রিল ২০২০, ০৩:০৪
৩১ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় করোনা মিটারে সারাবিশ্বের আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৮৫৫ জন। প্রায় ২৪ ঘন্টা পর এপ্রিলের প্রথম দিন বেলা আড়াইটায় এই সংখ্যা ৮ লাখ ৬০ হাজার ৯শ জন পার হয়।
সরল অংকের হিসেবে বিয়োগফল ৭৫ হাজার ১৪৫ জন। এর অর্থ প্রতি ঘন্টায় পৃথিবীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজারের বেশি। গত একদিনে আর মৃত্যু ৪০ হাজার ৭৩৫ থেকে ৪২ হাজার ৩৬০ এর ঘর পার হয়েছে।
এর অর্থ আক্রান্ত ও মৃত্যুর কাটা অনবরত ঘুরছেই। আর এর মধ্য দিয়ে আক্রান্তে ও মৃত্যুর দিক দিয়ে চীনকে ছাড়িয়ে গেলো যুক্তরাষ্ট্র, সেখানে আগামী সপ্তাহ আরো ভয়াবহ খবর নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ।
এমন বাস্তবতার মধ্যেও স্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি করোনা ভাইরাস বরং নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ানোর পরও গত ৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৬ জন। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দেশ ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩শ জনের ঘরে রয়েছে।
বিশ্ব গণমাধ্যমে এ মুহুর্তের অন্যতম আলোচনা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে ঠিক কত লাখ মানুষ শেষ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবেন তা নিয়েও। বিশ্বের সবদেশকে ছাপিয়ে আক্রান্তের তালিকায় এখন সবার ওপরে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ এ মুহুর্তে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্ত ১ লাখ সাড়ে ৮৮ হাজারের বেশি। গত ১৫ ঘন্টার আক্রান্ত বেড়েছে ১২ হাজারের বেশি।
করোনা ভাইরাস কতটা করুনাহীন তা কফিনের লম্বা সারি বেঁধে টের পাচ্ছে ইউরোপও। প্রাচীন সভ্যতার ধারক এ মহাদেশের স্পেনে ৫৫৩ জন, ইতালিতে ৮৩৭ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৮৩, যুক্তরাজ্যে ৩৮১ জন নতুন করে মারা গেছেন। মৃত্যুর তালিকাটা ইতালিতে সবচেয়ে লম্বা, যা গিয়ে ঠেকেছে ১২ হাজার ৪২৮ জনে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে গত দুইদিনে দেশটিতে মারা গেছেন মোট ১৫ বাংলাদেশী। এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায়-ই করোনাভাইরাসে আরো ৫ বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে ২৯ বাংলাদেশী মৃত্যুর খবর এলো। অবশ্য বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশীর মতে, করোনায় সেখানে কমপক্ষে ৩৫ বাংলাদেশী মারা গেছেন। সব মিলিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যাও ৪ হাজার পেরিয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বশেষ এক ভাষণে এর ভয়াবহতা স্বীকার করে বলেছেন, আগামী ২ সপ্তাহে মৃত্যুর রেকর্ড সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠে যেতে পারে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা জারি করেছেন তিনি। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যর এক চিকিৎসক ও গবেষক বলেছেন, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগবে।
ফলে মৃত্যু ও আক্রান্তের চিত্রে তীব্র হাহাকার আর আতংকের নগরী এখন নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বহু শহর, নগর। আক্রান্তে সবার উপরে নিউইয়র্ক, যা এই মুহুর্তে ভূগছে তার প্রায় ৭৫ হাজার ভূক্তভোগী নিয়ে। আক্রান্তের হিসেবে এরপরই আছে নিউজার্সি ও ক্যালিফোর্নিয়া।
ফলে সব হিসেব, সব আন্দাজ, সব আহবান উপেক্ষা করেই দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এবং কদিন আগের চেয়ে অবিশ্বাস্য ও দ্রুতগতিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবারো বলেছে, করোনা থেকে বাঁচতে সহজ কোনো পথ খোলা নেই।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২০০টি দেশ ও অঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ । অবশ্য সস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৩৪ জনও।
ইউরোপের দেশ স্পেনে মৃত্যু ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। মারা গেছেন ৮ হাজার ৪৬৪ জন। ইরানে ২ হাজার ৮৯৮, ফ্রান্সে ৩ হাজার ৫২৩, যুক্তরাজ্যে ১ হাজার ৭৮৯, জার্মানীতে ৭৮১ জন মারা গেছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক চীনের বাইরে করোনা ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে ১১ মার্চ পৃথিবীব্যাপী মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিষয়: special2
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?