ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনে কমেছে রাতকানা রোগী
নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১৩ জুলাই ২০১৮, ২০:০৭ | আপডেটেড ১৬ জুলাই ২০১৮, ০৬:০৭
ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন শুরুর আগে দেশে রাতকানা রোগাক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ছিল তিন দশমিক ৭৬ শতাংশ। সেই হার এখন কমে এক শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
রাতকানা রোগই শুধু নয়, ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন শুরুর পর নবজাতক মৃত্যু, শিশু মৃত্যু, পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের মৃত্যু কমেছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, ভিটামিন এ খাওয়ানোর পর শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়েছে।
শনিবার ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ড হবে, যাতে প্রায় আড়াই কোটি শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
এর মধ্যে ছয় মাস থেকে ১ বছর বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে ১টি করে নীল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল চার ফোঁটা এবং এক বছর থেকে পাঁচ বছর বয়সী ১ কোটি ৯৮ লাখ শিশুকে ১টি করে লাল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ৮ ফোঁটা করে খাওয়ানো হবে।
ভিটামিন এ-এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান বছরে দুইবার ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন করে।
এ বছর কর্মসূচির প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে- ‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’।
ঢাকা শহরের ২ হাজার ১৮৪টি আইপিএ সেন্টার ছাড়াও আরও ১৬০টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান চলবে।
ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. এহসানুল করিম হেলথ নিউজকে বলেন, “একটি শিশুও যেন ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন থেকে বাদ না যায়। সে লক্ষ্যে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে এসব ক্যাপসুল পৌঁছে দেওয়া হবে।”
জনস্বাস্থ্য পুষ্টি ইনস্টিটিউশনের পরিচালক ডা. সমীর কান্তি সরকার জানান, ২ কোটির কিছু বেশি শিশুকে এবারে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি বলেন, ২০১১ সালে ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন জাতীয়ভাবে পালন করার আগে রাতকানা রোগী ছিল প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ। কিন্তু সবশেষ জরিপ অনুযায়ী রাতকানা রোগীর সংখ্যা দশমিক শূন্য চার শতাংশ। তার মানে উল্লেখযোগ্য হারে দেশে রাতকানা রোগীর সংখ্যা কমেছে।
ডা. সমীর বলেন, কোনো দেশে যদি কোনো রোগ যদি এক শতাংশ বা তার বেশি হয় তাহলে তাকে ‘পাবলিক হেলথ প্রবলেম’ বলে ধরে নেওয়া হয়।
“আমরা সেই পাবলিক হেলথ প্রবলেমের অনেক অনেক নিচে রয়েছি- এটাই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জনের জায়গা।”
বিষয়:
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?