মহামারিতে রূপ নিচ্ছে ডায়াবেটিস

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:১১ | আপডেটেড ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:১১

diabetes-pic-1024x576

মহামারি রূপ নিচ্ছে ডায়াবেটিস। প্রতিবছর এত দ্রুত হারে বাড়ছে যে বিশ্বব্যাপি কোথাও কোথাও ডায়াবেটিসকে মহামারি বলেই বর্ণনা করছেন চিকিৎসাখাতের পর্যবেক্ষকরা।

আইডিএফের ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৪২ কোটি। ১৯৮৫ সালে যার সংখ্যা ছিল মাত্র তিন কোটি।ফলে এটা নিশ্চিত যে, গত ২৫ বছরে প্রায় ১৩ গুণ বেড়েছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। তাদের ধারণা- এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ কোটিতে উন্নীত হবে।

ক্রমবর্ধমান এ রোগটি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আসুন, প্রতিটি পরিবারকে ডায়াবেটিস মুক্ত রাখি’।

ডায়াবেটিস নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো বলছে,উন্নত দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান দশম স্থানে। বৃদ্ধির এ হার অব্যাহত থাকলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম স্থানে পৌঁছবে।

পর্যবক্ষণ বলছে- দ্রুত নগরায়ণের ফলে পরিবর্তিত জীবনযাপনের কারণে বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বাড়ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডায়াবেটিসের কারণে প্রতি বছর পাঁচ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ডায়াবেটিসের কারণে অর্থনৈতিক চাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিসের ওষুধ, ইনসুলিনসহ সব কিছুরই দাম দিন দিন বাড়ছে। এক হিসাবে দেখা গেছে, শুধু ডায়াবেটিসের হার কমাতে পারলে স্বাস্থ্য খাতেই ১১ শতাংশ ব্যয় কমানো সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ হেলথ বুলেটিনে ডায়াবেটিসের ভয়াবহ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে বলা হয়েছে, গত এক বছরে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশ ডায়াবেটিস আক্রান্ত কিংবা প্রি-ডায়াবেটিস অবস্থায় রয়েছে। ডায়াবেটিসজনিত কারণে মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ২ শতাংশ বলে ওই বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়।

এই জরিপ কাজের সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি বাডাসের সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চ বলছে, ১৯৯৯ সালে ২ দশমিক ৩ শতাংশ, ২০০৪ সালে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। এরপর আর কোনো জরিপ হয়নি। এবারের জরিপে দেখা যায়, গত ৯ বছরের ব্যবধানে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে।

দেশের কত শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসের শিকার তা খুঁজে বের করতে গত বছরের নভেম্বরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিক্যাবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম ও বাডাসের সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চ শাখা যৌথভাবে জরিপটি পরিচালনা করে। এ জন্য প্রায় চার মাস ধরে দেশের ৬৪ জেলার ৪০০ উপজেলায় এক লাখ মানুষের রক্তসহ শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্নেষণ করে জরিপের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা দেখতে পান এক-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসের শিকার। আক্রান্তদের অর্ধেকেই জানতেন না তাদের ডায়াবেটিস আছে। এক দশকেরও কম সময় আগে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ ভাগেরও কম মানুষ।

জরিপে দেখা যায়, ডায়াবেটিস আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে। এরপর পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ, বরিশাল, ঢাকা, খুলনা, রংপুর, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে এর প্রকোপ দেখা যায়।

আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন (আইডিএফ) বলছে, বাংলাদেশে ৭৩ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তবে বাডাস থেকে বিভিন্ন সময়ে দেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে স্বল্প পরিসরে জরিপ করে দেখা গেছে, শহরাঞ্চলে ১০ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ৮ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তবে বর্তমানে বাডাস ও এর অধিভুক্ত সমিতিতে আক্রান্ত নিবন্ধিত রোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রতি বছর আরও প্রায় ১৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী সমিতিতে নিবন্ধিত হচ্ছেন। এ চিত্র বিশ্নেষণ করে বলা যায়, দেশের প্রত্যেকটি পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

বাডাসের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব হেলথ নিউজকে বলেন, ‍“শহরেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অসংখ্য মানুষ আছেন, যারা জানেন না এ রোগ তাদের শরীরেও বাসা বেঁধেছে।”

শৃঙ্খলা ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই ডায়াবেটিস ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব, এখানে ওষুধের ভূমিকা খুব কম বলে মনে করেন রশিদ-ই-মাহবুব।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

পথের খোলা শরবত কতটা স্বাস্থ্যকর?

১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক দৃষ্টান্ত: নাসিম

বিএসএমএমইউতে বিনামূল্যে রোগ পরীক্ষা

বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউর মান নিয়ে প্রশ্ন

দুর্ঘটনা: চিকিৎসার নীতিমালার গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

মেডিকেলে ভর্তিতে আসন ৫০০ বাড়ল

উপজেলায় ক্যান্সার হাসপাতাল!

খুলনায় চিকিৎসকের সঠিক সময়ে হাজির হতে নির্দেশনা

সব কমিউনিটি ক্লিনিক আসছে ট্রাস্টের অধীনে

ডেঙ্গু থেকে সাবধান

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৫ অক্টোবর

জাবালে নূরের বাসচাপায় আহতদের চিকিৎসা খরচ সরকারের

ক্যান্সার রোগীর এক-তৃতীয়াংশই হেড-নেকের

দেশে বছরে ২০ হাজার মৃত্যু হেপাটাইটিসে

সরঞ্জাম সঙ্কটে ময়মনসিংহ মেডিকেলের মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন

লোকসানই কারণ: জিএসকে

হরলিক্স রেখে দিয়ে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন বিএসএমএমইউর ৫ শিক্ষার্থী

তৃণমূলে চিকিৎসক দিতে মন্ত্রীকে ডিসিদের সুপারিশ

ওসমানী মেডিকেলে কিশোরী ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3