যে ৭ খাবার ঝকঝকে করবে দাঁত
ডেস্ক রিপোর্ট, হেলথ নিউজ | ১৮ এপ্রিল ২০১৮, ০০:০৪ | আপডেটেড ২ জুন ২০১৮, ১১:০৬
সুন্দর হাসির জন্য চাই ঝকঝকে দাঁত। কিছু খাবার আছে, যা দাঁতকে করে তোলে উজ্জ্বল; আর কিছু খাবারের জন্য দাঁতে পড়ে দাগ।
মদ্যপান, অতিরিক্ত চা-কফি, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং ধূমপানের কারণে নষ্ট হয় দাঁতের রং। সুন্দর দাঁতের উপযোগী সাতটি খাবারের নাম জানিয়েছে রিডার্স ডাইজেস্ট।
ব্রকলি, ফুলকপি
ব্রকলি, ফুলকপির মতো সবজিগুলো থেকে আমরা এ ধরনের সুবিধা পেতে পারি, যদি তা খাওয়া হয় হালকা সিদ্ধ অবস্থায়। এগুলো যত বেশি চিবানো হয়, মুখে লালার পরিমাণ তত বাড়ে। আর এতে দাঁতের দাগ সহজেই দূর হয়।
স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরিতে মেলিক এসিড থাকে, যা পেশির জন্য শর্করাকে শক্তিতে পরিণত করতে সহায়তা করে। এই এসিড দাঁতের ওপরের দাগ দূর করতেও সহায়তা করে। তাই দাঁতের সুস্থতার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রবেরি ছাড়াও আপেল, চেরি, কলা, পিচ ও লিচুতে এই এসিড রয়েছে।
পনির ও দই
দুগ্ধজাত খাবার পনির ও দই মুখে অতিরিক্ত লালার সৃষ্টি করে, যা এনামেলের ওপরে থাকা দাগ দূর করে। এছাড়া পনিরে ল্যাকটিক এসিডও দাঁতের দাগ দূর করে।
বীজ ও বাদাম
সূর্যমুখীর বীজ, কাঠবাদাম, ওয়ালনাট ও কাজুবাদামে দাঁতের দাগ উঠে দাঁত হয় ঝকঝকে।
আনারস
আনারসে ব্রোমলেইন নামের এক ধরণের এনজাইম রয়েছে। এই এনজাইম এনামেলের ওপরের প্রোটিন চূর্ণবিচূর্ণ করে, দাগ দূর করে ও দাঁতের বিবর্ণতা রোধ করে। আর প্রোটিন চূর্ণবিচূর্ণ হলে মুখের লালা প্রাকৃতিকভাবেই দাগ ধুয়ে ফেলে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজে থাকা সালফারের কারণে দাঁতের উপরে এবং দুই দাঁতের মধ্যে প্লাক জমতে দেয় না। তবে এর সুফল পেতে রান্নায় নয়, খেতে হবে কাঁচা পেঁয়াজ।
সেলেরি, গাজর
সেলেরি ও গাজরে ব্যতিক্রধর্মী জলীয় উপাদান থাকে, যা মুখের গামকে শক্তিশালী করে মুখে থেকে যাওয়া খাবারের অবশিষ্ট অংশ বের করে দেয়। আর কাঁচা সেলেরি দাঁতের স্ক্র্যাবিংয়ের কাজ করে।
দাঁতে দাগ সৃষ্টি করে এমন কিছু খাবার নিত্যকার জীবন থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসিড জাতীয় পানীয়
দাঁতের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে ক্যাফেইনের। চা, কফি ও সোডার মতো এসিডিক পানীয় মুখের পিএইচ ব্যালেন্স পরিবর্তন করে এনামেলের ওপরের অংশ নষ্ট করে। সোডাতে উচ্চমাত্রায় চিনি থাকে, যা আসলে দাঁতের এনামেল নষ্ট করে গর্ত তৈরি করে।
এসব পানীয় বাদ না দিতে পারলে এগুলো গ্রহণের পরপরই প্রচুর পানি পান করা উচিত। তাহলে মুখের ভেতরে পরিষ্কার হয়ে যায়।
রেড ওয়াইন
ওয়াইনের গাঢ় রংয়ের কারণে দাঁতে কালো দাগ পড়ে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় হল এক টুকরা পনির খেয়ে নেওয়া।
ডার্ক ড্রেসিং
খাবারের স্বাদ বাড়াতে (বিশেষ করে সালাদে) অনেক সময় গাঢ় রংয়ের ড্রেসিং যেমন বালসামিক ভিনেগার, সয়াসস ব্যবহার করা হয়। এতে দাঁতে দাগ হয়। এর বিকল্প হিসেবে রাইস ভিনেগার বা জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করা যায়।
লাল সস
টমেটো দিয়ে বানানো সস অনেক বেশি মাত্রায় লাল হওয়ায় ও প্রাকৃতিকভাবে এর এসিডিক লেভেল বেশি থাকায় তা দাঁতে দাগের সৃষ্টি করে। তাই পাস্তা খেতে হলে সসের সাথে ব্রকোলি বা ফুলকপি যোগ করলে দাঁতকে রক্ষা করা সম্ভব।
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?