রোগীর চাপ সামলাতে খুলনা মেডিকেলে নতুন ইউনিটের পরিকল্পনা

এম রহমান, খুলনা প্রতিনিধি, হেলথ নিউজ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:০৯ | আপডেটেড ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:০৯

Khulna-health-unit

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবার বড় কেন্দ্র খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

কাগজে-কলমে ৫০০ শয্যার হাসপাতালটিতে গড়ে রোগী থাকছে ১ হাজারের বেশি। রোগীর ভিড়ে স্থান মিলছে না বারান্দাতেও।

ফলে চাপ সামলাতে চার একর জমিতে হাসপাতালের আলাদা ইউনিট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

খুলনা মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও খুলনা গণপূর্ত বিভাগের যৌথ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আলাদা ইউনিট করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হচ্ছে।

অবকাঠামো নিয়ে অনেক দিন ধরেই সমস্যায় ভুগছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কয়েকটি ভবনকে ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ করেও রোগীর ধারণ ক্ষমতা যথেষ্ট বাড়ানো যায়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে কোনো শয্যা ফাঁকা নেই। বারান্দায় রোগীদের দীর্ঘ সারির মধ্য দিয়ে পা ফেলে হেঁটে যাওয়াও কষ্টকর। তীব্র গরম কিংবা ঝড় বৃষ্টির মধ্যেই দুর্ভোগ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এখানকার রোগীরা।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ হেলথ নিউজকে বলেন, “৫০০ বেড কাগজে- কলমে থাকলেও সেই পুরনো অবকাঠামো ও লোকবল নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। অনেক সময় রোগীর জায়গা দিতেই হিমশিম খেতে হয়।”

তিনি বলেন, হাসপাতালের কাছেই সোনাডাঙ্গা-বয়রা সড়কে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ২০ একর জমি রয়েছে। সেখানে নার্সিং কলেজ, আইএইচটি ভবন ও কয়েকটি আবাসন স্থাপনা রয়েছে।

একই বাউন্ডারিতে চার একর জমিতে হাসপাতালের আলাদা ইউনিট করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে হাসপাতালের ভবন নির্মাণ করে কয়েকটি স্বাস্থ্য বিভাগ চালু করা সম্ভব।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশতাক হাসান সম্প্রতি সরেজমিনে আলাদা ইউনিট করার ওই স্থান পরিদর্শন করেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুল আহাদ হেলথ নিউজকে বলেন, হাসপাতালের আলাদা ইউনিট করার বিষয়টি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের সিদ্ধান্ত।

“খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ওই জমির মধ্যে চার একর নেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই চেষ্টা করছে। কিন্তু আর্থিক সংকটে জমি নেওয়া সম্ভব হয়নি।

“বয়রা এলাকায় মেডিকেল কলেজ, চিকিৎসক ও ছাত্রদের আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, নার্সিং কলেজ সব মিলিয়ে সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। হাসপাতালের এত কাছাকাছি জমি আর পাওয়া যাবে না। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে সম্মিলিতভাবে এখানে হাসপাতালের আলাদা ইউনিট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন হেলথ নিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে ৫০০ শয্যার হাসপাতালটিকে এক হাজার শয্যায় উন্নীতকরণের দাবি উঠেছে। একই সাথে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে।

“কিন্তু হাসপাতালের ভবনগুলোকে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের আর সুযোগ নেই। এ কারণে হাসপাতালের কাছাকাছি আলাদা ইউনিট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরই চূড়ান্ত কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

দাবদাহ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ পরামর্শ

ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে ‘হিট স্ট্রোক সেন্টার’ চালু

রাজশাহীতে তাপমাত্রা কমল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি

বিদেশে চিকিৎসা: নেওয়া যাবে ১৫ হাজার ডলার

বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে কি স্থায়ী কমিশন হচ্ছে

তাপমাত্রা কমতে পারে, বৃষ্টির পূর্বাভাস

গরমে সুস্থ থাকুন

তাপপ্রবাহ কমবে, আছে বৃষ্টির সুখবর

চিকিৎসকদের কর্মস্থলে থাকা নিশ্চিত করতে হবে: ইউনূস

প্রক্রিয়াজাত খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি

চোখ ভালো রাখতে যা খেতে হবে

প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে সংবিধানে ‘মৌলিক অধিকার’ ঘোষণার সুপারিশ

ছোঁয়াচে ‘স্ক্যাবিস’ রোগের সংক্রমণ বাড়ছে

সাপের কামড়ে শরীরে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিভেনম

আয় বাড়লেও মুনাফা কমল রেনাটার

কিডনি প্রতিস্থাপনে ‘সংশোধন হবে’ আইন

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৯ জন

বাংলাদেশে টিকাদানে প্রায় ৫ লাখ শিশু সব ডোজ পায় না

নবজাতকের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

ভিয়েতনাম থেকে এলো আতপ চাল

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3