হেপাটাইটিস এড়াতে সচেতন হতে আহ্বান
রাজশাহী প্রতিনিধি হেলথ নিউজ | ২৩ জুলাই ২০১৮, ২৩:০৭ | আপডেটেড ২৪ জুলাই ২০১৮, ১২:০৭
সচেতন থাকলেই হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন।
আগামী ২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসকে সামনে রেখে সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এই মত আসে।
‘অজানা সংখ্যক মানুষ যারা হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসের আক্রান্তু, তাদের খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়।
সকাল ৯টায় রামেক হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগ ও মেডিসিন বিভাগের আয়োজনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মূল ফটকের সামনে এক শোভাযাত্রা বের হয়। এরপর কলেজের টিচার্স কনফারেন্স হলরুমে হয় আলোচনা সভা।
রামেকের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সালিমুর রহমান।
রামেকের লিভার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারুন আর-রশীদ বলেন, “হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস আমাদের দেশের অন্যান্য রোগের মাঝে বড় একটা অসুখ, যা সম্পর্কে মানুষ অসচেতন থাকে।
“সারা বিশ্বে হিসেব করে দেখা গেছে, এইচআইভি ভাইরাসের চেয়ে হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেশি। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বি ভাইরাসের সংক্রমণ এইচআইভি ভাইরাসের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি, সি ভাইরাসের সংক্রমণ চার গুণ বেশি।”
“তাই এই অসুখ সম্পর্কে মানুষকে জানতে হবে সবাইকে জানাতে হবে,” বলেন তিনি।
হেপাটাইটিস সংক্রমণে লিভার সিরোসিস হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে ডা. হারুন বলেন, “আমাদের গরিব এই দেশের মানুষ যদি সিরোসিস এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, তাহলে তাদের চিকিৎসার খরচ বহন করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে।”
বক্তারা বলেন, এই ভাইরাস সম্পর্কে সবাই যদি তাড়াতাড়ি জানতে পারে, তাহলে এই ভাইরাসের খুব সুন্দর চিকিৎসা রয়েছে। চিকিৎসা করলে মানুষ সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রামেকের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক বুলবুল হাসান, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান।
বিষয়: special1
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?