হয় স্থূল নয় অপুষ্টির শিকার বিশ্বের ৭০ কোটি শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:১০ | আপডেটেড ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:১০

unicef

বিশ্বের পাঁচবছরের কম বয়সী তিনজনের মধ্যে একজন শিশু হয় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ওজনের অথবা অপুষ্টির শিকার।

সব গুলো দেশ মিলিয়ে এ সংখ্যা ৭০ কোটির কাছাকাছি। এই ধরনের শিশুরা জীবনভর নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতায় ভোগে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্ব শিশু তহবিল ইউনিসেফের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিশুদের শৈশবকালীন পুষ্টিহীনতার বিষয়টি মূল্যায়ন করা হয়। এমন খবরই দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

ইউনিসেফের প্রধান নির্বাহী হেনরিয়েটা ফোর বলেন, কোন শিশু পর্যাপ্ত খাবার না পেলে তাদের জীবনমানটাও পড়ে যায়। এসব শিশুকে আজীবন এই সমস্যার ধকল সহ্য করতে হয়। ১৯৯৯ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউনিসেফ শিশুদের ওপর এই ধরনের বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশ করল।

হেনরিয়েটা ফোর বলেন, বাল্যকাল থেকেই আমরা স্বাস্থ্যকর খাবার পাচ্ছি না। এর প্রভাব আমাদের জীবনের ওপর পড়ছে। এসব সমস্যা বিশ্বের গরিব অথবা মধ্যআয়ের দেশগুলোতে প্রকট বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বের গরিব দেশগুলোর শিশু স্বাস্থ্যের অবস্থা ৪০ শতাংশ বাড়লেও এখনও প্রায় ১৫ কোটি শিশু অথবা তরুণের উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম।

এসব শিশুর মস্তিষ্ক অথবা শারীরিক বিকাশও তেমন হয়নি। অপরদিকে বিশ্বের পাঁচ কোটি শিশু এখনও আবর্জনাজনিত সংক্রমণের শিকার। অথবা অতি দরিদ্রতার কারণে অনেক শিশু জন্মগতভাবেই রোগাপাতলা হয়ে জন্মায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় অর্ধেক শিশু প্রয়োজনীয় ভিটামিন অথবা খনিজ পায় না। এতে তাদের শরীরের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যার বাসা বাঁধে। ইউনিসেফ একে ‘অদৃশ্য ক্ষুধা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

এদিকে গত তিন দশকে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুদের রোগা পাতলার পরিবর্তে এদের মুটিয়ে যাওয়ার হার বেড়েছে।

ইউনিসেফের পুষ্টি বিষয়ক প্রকল্পের প্রধান ভিক্টর আগুয়াও বলেন, এসব শিশুর মধ্যে কার্যত তিনটি সমস্যা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে, তারা অপুষ্টি, খুবই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান অথবা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। এই সমস্যা একটি দেশের কোন কোন নির্দিষ্ট এলাকার প্রতিবেশী অথবা একই পরিবারের মানুষের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গবেষণায় ফুটে উঠেছে যে একজন অরিক্তিক ওজন অথবা স্থূলকায় মায়ের গর্ভের সন্তান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কম উচ্চতা নিয়ে জন্মায়। আবার এসব মায়ের সন্তান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভেই নষ্ট হয়ে যায়।

ভিক্টর আগুয়াও বলেন, বর্তমানে বিশ্বের সব বয়সের ৮০ কোটি মানুষ অতিমাত্রায় খাদ্য সমস্যায় ভুগছে। অপরদিকে দুই শ’ কোটি মানুষ অতিমাত্রায় ভুল খাদ্য গ্রহণ করছে ফলে তাদের মধ্যে স্থূলতা, হার্টের সমস্যা ও ডায়াবেটিস সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

আবার জন্মের প্রথম এক হাজার দিন সঠিক খাবার না পাওয়ায় শিশুদের সঠিক স্বাস্থ্য ও মানসিক বিকাশ হচ্ছে না।

ইউনিসেফের বিশেষজ্ঞরা, এ জন্য শিশুর জন্মের প্রথম ছয়মাস সঠিকভাবে বুকের দুধ পান করানোর পরামর্শ দিয়েছে।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউর মান নিয়ে প্রশ্ন

দুর্ঘটনা: চিকিৎসার নীতিমালার গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

মেডিকেলে ভর্তিতে আসন ৫০০ বাড়ল

উপজেলায় ক্যান্সার হাসপাতাল!

খুলনায় চিকিৎসকের সঠিক সময়ে হাজির হতে নির্দেশনা

সব কমিউনিটি ক্লিনিক আসছে ট্রাস্টের অধীনে

ডেঙ্গু থেকে সাবধান

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৫ অক্টোবর

জাবালে নূরের বাসচাপায় আহতদের চিকিৎসা খরচ সরকারের

ক্যান্সার রোগীর এক-তৃতীয়াংশই হেড-নেকের

দেশে বছরে ২০ হাজার মৃত্যু হেপাটাইটিসে

সরঞ্জাম সঙ্কটে ময়মনসিংহ মেডিকেলের মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন

লোকসানই কারণ: জিএসকে

হরলিক্স রেখে দিয়ে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন বিএসএমএমইউর ৫ শিক্ষার্থী

তৃণমূলে চিকিৎসক দিতে মন্ত্রীকে ডিসিদের সুপারিশ

ওসমানী মেডিকেলে কিশোরী ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কার পাচ্ছেন ডা. কনক কান্তি

বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সহায়তার আশ্বাস

ভোটের প্রচারে থাকায় ওসমানীর অধ্যক্ষ, সিভিল সার্জনকে শোকজ

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3