হাসপাতাল বর্জ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সিলেটে
হোসাইন আহমদ সুজাদ, হেলথ নিউজ | ২০ মার্চ ২০১৮, ০৯:০৩ | আপডেটেড ৯ জুন ২০১৮, ১০:০৬
সিলেট মহানগরে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য; এই বর্জ্যের কারণে দূষণ ঘটায় হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তারা জানান, নগরীতে প্রতিদিন মেডিকেল বর্জ্য উৎপন্ন হয় ২০ মেট্রিক টন। এ বর্জ্য ফেলা হয় নগরী থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে পারাইরচকে।
সেখানে সাধারণ বর্জ্য ও মেডিকেল বর্জ্য একই স্থানে ফেলা হয়ে থাকে, মেডিকেল বর্জ্য অপসারণের জন্য নেই আলাদা জমি। ফলে ছড়িয়ে পড়ছে হাসপাতাল বর্জ্যে থাকা নানা রোগ-জীবাণু।
সিলেটে বিভিন্ন সময়ে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা হাসপাতাল বর্জ্য দূষণে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির কথা বলে আসছেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সিলেটের সংসদ সদস্য, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও এই বিষয়টিতে সচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্ব দেন।
তিনি বলেন, সিলেটের জন্য বর্তমান সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন ও হেলথ সার্ভিস। এত ক্লিনিক বোধ হয় দেশের অন্য কোথাও নেই। হাসপাতাল অনেকগুলো। হোটেল আছে প্রায় চার হাজার।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, বর্জ্য অপসারণে নগরীতে ৪৫৯ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিন-রাত কাজ করছেন। বর্জ্য অপসারণের জন্য রয়েছে ৭৬টি ট্রাক ও ২০৮টি হাতাবিহীন গাড়ি।
হাসপাতাল বর্জ্য আলাদা রঙের ব্যাগে অপসারণ করা হয় বলে তিনি জানান।
প্রকৌশলী আজিজ বলেন, নগরীতে চারটি স্যানিটারি ল্যান্ডফিল স্থাপন হচ্ছে। তিনটির কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি একটির কাজও শিগগিরই শেষ হবে।
এ চারটি ল্যান্ডফিল পুরোপুরি চালুর পাশাপাশি ময়লা অপসারণে উন্নত প্রযুক্তির অটোক্লিনিং মেশিনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে তিনি বলেন, “মেডিকেল কলেজ ও ক্লিনিকগুলো থেকে মূলত সলিড (শক্ত) এবং লিকুইড এ দুই ধরনের ময়লা উৎপন্ন হয়। অটোক্লিনিংয়ের মাধ্যমে সলিড ময়লা অপসারণ করা হলেও লিকুইড ময়লা অপসারণ বেশ জটিল ও ব্যয়বহুল।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশ রক্ষার কথা চিন্তা করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে পরিকল্পনা যদি এখনই নেওয়া না হয়, তবে সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও বিষয়টিতে সচেতন।
তিনি বলেন, “সিলেটকে দূষণমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে মেডিকেল বর্জ্যের আলাদা ব্যবস্থাপনার ওপর আমাদের জোর দিতে হবে।”
তবে এ জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিষয়: special1
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?