Site icon Health News

অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণে আদালতের শরণ

অ্যান্টিবায়োটিকের অসচেতন ব্যবহার নিয়ে সরকারি পর্যায় থেকেও নানা প্রচার চলছে, তা জোরালো করতে এবার আদালতের কাছে গেলেন এক আইনজীবী।

চিকিৎসকের যথাযথ তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার আবেদনটি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে আবেদনটি করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োকের অপব্যবহারে শরীরের জীবাণু তা প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় প্রতি বছর বিশ্বে সাত লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। ২০৫০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা এক কোটিতে দাঁড়াতে পারে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের এক প্রতিবেদন উদ্বৃত করে রিট আবেদনে বলা হয়, কৃষিখাদ্যের মাধ্যমে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করায় রাজধানীর ৫৫.৭ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে অ্যান্টবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

পশুখাদ্য, মাছ এবং কৃষিতে অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিপজ্জ্বনক অবস্থায় রয়েছে। সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষিতে; যা দেশে ব্যবহৃত মোট অ্যান্টিবায়োটিকের প্রায় অর্ধেক।

ফলে খুব সহজেই কৃষি খাদ্যের মধ্য দিয়ে এই অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের শরীর ঢুকছে। এতে একদিকে যেমন অ্যান্টিবায়াটিকের কার্যকারিতা হারাচ্ছে, তেমনি শরীরও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাচ্ছে।

অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে কারণে সামান্য জীবানু সংক্রমনও এখন ব্যবহারকারীর জীবনের জন্য হুমকী হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

রিট আবেদনে সুমন বলেছেন, অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারের কারণে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা যে নষ্ট করে বা হুমকী সৃষ্টি করে, সে বিষয়টি তুলে ধরতে জাতীয় ওষুধ নীতি ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে অ্যাটিবায়োটিকের অপ্যয়োজনীয় ব্যবহার মানুষের মৃত্যুর ফাঁদ তৈরি করছে।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জন প্রশাসন সচিব ও দেশের সব জেলা প্রশাসককে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সুমন। Attachments area

Exit mobile version