আক্রান্তের তালিকায় বিশ্বের সবদেশকে ছাপিয়ে এখন সবার ওপরে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের সবদেশকে ছাপিয়ে আক্রান্তের তালিকায় এখন সবার ওপরে যুক্তরাষ্ট্র।
কারণ এ মুহুর্তে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্ত ৪ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পরাক্রমশালী এ দেশটি কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৯১ জনের মৃত্যু ঠেকাতে পারেনি। গত ২৪ ঘন্টায় ১৯০০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে করোনামিটার। এরফলে মৃত্যুর তালিকায় স্পেনকে ডিঙ্গিয়ে ২য় স্থানে চলে গেছে এ পরাক্রমশালী। সবার উপরের নামটি অবশ্য এখনো ইতালী।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে ঠিক কত লাখ মানুষ শেষ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবেন তা নিয়ে মাসখানেক আগেই যে গবেষণা ও ধারণা ছিল সত্য তার কাছাকাছি পথ দিয়েই হাঁটছে। প্রথমে পিছিয়ে থাকলেও বিশ্বের সবদেশকে ছাপিয়ে আক্রান্তের তালিকায় এখন সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র।
এ মৃত্যুর সংবাদ বাংলাদেশেও এনেছে ভীষণ বিষাদ। কারণ সবশেষ হিসেবে করোনাভাইরাসে গত ২৪ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে ১শসহ জনসহ সারাবিশ্বে শতাধিক বাংলাদেশী মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বশেষ এক ভাষণে এর ভয়াবহতা স্বীকার করে বলেছেন, তারপরও সামনে দিকে দিকে সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আলো দেখতে পাচ্ছেন।আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা জারি করেছেন তিনি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এক চিকিৎসক ও গবেষক বলেছেন, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগবে। তারা আশঙ্কা করছে আগামী সপ্তাহে মৃত্যুর রেকর্ড সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠে যেতে পারে।
ফলে মৃত্যু ও আক্রান্তের চিত্রে তীব্র হাহাকার আর আতংকের নগরী এখন নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বহু শহর, নগর। আক্রান্তে সবার উপরে নিউইয়র্ক, যা এই মুহুর্তে ভূগছে তার প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার ভূক্তভোগী নিয়ে। আক্রান্তের হিসেবে এরপরই আছে নিউজার্সি, মিশিগান, ক্যালিফোর্নিয়া ও ম্যাসাচুয়েটস।
গত ২৭ মার্চ মধ্যভাগেই দেশটি প্রথম আক্রান্ত চীনের মোট ৮১ হাজার জনের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে সবার উপরে উঠে যায়। করোনা ভাইরাস কতটা করুনাহীন তা কফিনের লম্বা সারি বেঁধে টের পাচ্ছে ইউরোপও। প্রতিঘন্টায় সর্বত্র যা কেবল বাড়ছেই।
স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিদর্শক তেড্রোস আডানম গেব্রিয়ুস জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ থেকে ১ লাখে পৌঁছাতে ৬৭ দিন সময় লেগেছে। দ্বিতীয় একলাখ আক্রান্ত হতে সময় লেগেছে ১১ দিন। কিন্তু তৃতীয় একলাখ আক্রান্ত হতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ দিন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক চীনের বাইরে করোনা ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে ১১ মার্চ পৃথিবীব্যাপী মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।