Site icon Health News

আক্রান্ত ৩ শতাধিক, মৃত্যু ১০

দেশের করোনাভাইরাস আক্রান্তে এ যাবতকালের পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা এলো বৃহস্পতিবার। পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাতেও বড় পরিবর্তন এলো।

মোট ২ হাজার ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় সক্রমণ মিললো ৩শ ৪১ জনের দেহে। আর মারা যাবার সংখ্যাটাও দুই অংক ছুয়ে ১০ হলো। 

বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত টাইমলাইন ধরে তিনি সংক্রমনের এ তথ্য জানান। এতে দেশে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ হাজার ৫৭২ জনে।গত ৮ মার্চ প্রথম আক্রান্তের পর দেশে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে।

জানানো হয়, মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৭১-৮০ বছর বয়সী একজন, ৬১-৭০ বছর বয়সী পাঁচজন, ৫১-৬০ বছর বয়সী তিনজন এবং ২১-৩০ বছর বয়সী একজন। এই ১০ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারী। এদের মধ্যে ছয়জন ঢাকার এবং বাকি চারজন ঢাকার বাইরে অন্য জেলার।

জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। আর বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ ছাড়িয়েছে। আর ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৩৫ জন।

অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, নমুনা সংগ্রহের হার গতকালের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি। আর নমুনা পরীক্ষার হার ১৬ শতাংশ বেশি বলে তিনি জানান।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২ হাজার ১৩৫টি। এর মধ্যে ২ হাজার ১৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক  জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৩৭ জনকে, আর আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯ জন। বর্তমানে মোট ৪৬১ জন আইসোলেশনে আছেন।

সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৬ হাজার ৯৭৭টি; তার মধ্যে ১ হাজার ৫৫০টি শয্যা রয়েছে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে রয়েছে ৫ হাজার ৪২৭টি শয্যা। এসব হাসপাতালে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১৯২টি, ডায়ালাইসিস শয্যার সংখ্যা ৪০টি।

Exit mobile version