দই খুব মজাদার এবং পুষ্টিগুন সম্পন্ন একটি খাবার। রমজান মাসে আমরা ইফতার বা সাহরিতে দই রাখতে পারি। অতিরিক্ত ভাজা পোড়া, তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার কারনে আ্যসিডিটি বেড়ে যাওয়া, গলা,বুক জ্বালাপোড়া করা, হজমে সমস্যা দেখা দেয়।
আর এক্ষেত্রে দইয়ের বিকল্প নেই। কারণ দই খুব সহজেই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। ১০০ গ্রাম টক দইয়ে রয়েছে – ক্যালরি – ৬০ ময়েশ্চার – ৯০% প্রোটিন – ৩.৫ গ্রাম ফ্যাট – ৪ গ্রাম ক্যালসিয়াম – ১৫০ মি.গ্রা ভিটামিন এ – ১০২ আইইউ এছাড়াও এতে আ্যমাইনো আ্যসিড, ম্যাগনেসিয়াম,জিংক,পটাশিয়াম,ফসফরাস, আয়োডিন এবং উপকারী ব্যাক্টেরিয়া রয়েছে।
ইফতারে টক দইয়ের রেসিপি লাচ্ছি টক দই এবং লেবু দিয়ে খুব সহজেই এক গ্লাস লাচ্ছি করে খেতে পারেন ইফতারে। দই চিড়া টক দই, চিড়া, কলা একসঙ্গে মিশিয়ে ইফতারে খেতে পারেন ভাজা পোড়া খাওয়ার বদলে। এটা আ্যসিডিটি কমাতে, এনার্জি যোগাতে এবং পেট ঠান্ডা রাখতেও সহায়তা করবে।
দই ও ফলের সালাদ বিভিন্ন ফল টুকরো করে কেটে নিয়ে তা কয়েক টেবিল চামচ টক দই দিয়ে মাখিয়েও খেতে পারেন। দই ফলের এই সালাদ শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেলস ও ফাইবার সরবরাহ করবে।
দই ও কলার স্মুদি :
আধা কাপ টক দই ও ২টা কলা স্লাইস করে কেটে নিয়ে ২/৩ চা চামচ পিনাট বাটার যোগ করে ব্লেন্ড করে স্মুদি তৈরি করে নিতে পারেন। সারাদিন রোজা রাখার পর এই স্মুদি খুব সহজেই আপনার শরীরে ইন্সট্যান্ট এনার্জি যোগাবে। দই-কালিজিরা ইফতারে ১ কাপ টক দই সামান্য কালিজিরা যোগ করে খেতে পারেন।
এই দই-কালিজিরা সাহরিতে খাবার শেষেও খেতে পারেন। এটা বডি রিহাইড্রেট রাখবে। রোজা রেখে দিনের বেলা পানি পিপাসা কম লাগবে। টক দই খাওয়ার উপকারিতা টক দইয়ে বিদ্যামান স্ট্রেপটোকক্কাস থ্রেমোফিলাস, ল্যাকটোব্যাসিলাস আ্যসিডোফিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এছাড়া আমাদের পাকস্থলীতে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে যা আ্যসিডিটি দূর করতে ও হজমে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এর উৎস হওয়ায় হাড় ও দাত মজবুত করতেও সহায়তা করে।
যাদের ল্যাক্টোজেন ইনটলারেন্স রয়েছে বা যারা দুধ খেতে পারেন না তারা টক দই খেয়ে ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ করতে পারবেন। কারন দইয়ে বিদ্যামান ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোজকে ভেঙ্গে ল্যাকটিক আ্যসিডে পরিণত করে।