ঈদের ছুটিতে যেন চিকিৎসা সেবা ব্যাহত না হয়, সেজন্য হাসপাতালগুলোতেও সেই রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আগে ঈদের ছুটিতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে রোগীদের অসন্তোষ থাকলেও গত কয়েক বছরে চিত্র বদলেছে। এবারও তেমনই হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়েই রোস্টার করেছেন তারা। ফলে রোগীদের সেবায় কোনো ঘাটতি হবে না।
ঈদ উল ফিতরের ছুটির মাঝে রোগীদের জন্য আগামী ১৮ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের বহির্বিভাগ খোলা থাকবে।
তবে ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, অফিস ও বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসালটেশন সার্ভিস বন্ধ থাকবে। বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, বন্ধের দিনগুলোতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বিভাগ ও ইনডোর সেবা প্রচলিত নিয়মে চালু থাকবে।
তিনি বলেন, “বিশেষ ব্যবস্থায় আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা কর্মচারীদের রোস্টার করে দেওয়া হয়েছে। আমি নিজে তার তদারকি করছি। তাদের জন্য ঈদের দিন, ঈদের পরের দিন এবং তার পরের দিনের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে, যেহেতু ছুটির এ সময়টাতে বাইরে খাবার পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।”
একইসঙ্গে বিএসএমএমইউতে রোগীদের জন্যও ঈদের দিন থাকছে উন্নত মানের খাবার।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঈদের ছুটির সময়কার পাঁচ দিনের জন্য বিশেষ রোস্টার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোয়াররফ হোসেনও বলেন, ঈদের সময়ে রোগী কমলেও তাদের ব্যবস্থাপনায় কোনো ঘাটতি থাকবে না।
জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারাও একই কথা বলেন।