Site icon Health News

একদিনেই আক্রান্ত শতাধিক, মৃত্যু আরো ১

বাংলাদেশে একদিনেই সর্বোচ্চ ১১২ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১২ জনের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩০ জন।

গত ৬ দিনে এ সংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ ৯, ১৮, ৩৫, ৪১, ৫৪ থেকে-১১২তে পৌঁছালো।

আক্রান্তদের মধ্যে আরও একজন গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন, তাতে দেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ জন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যেহেতু আমাদের টেস্টের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, আগে একটা ল্যাবরেটরিতে হত এখন ১৭টা জায়গায় হয়, টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে বিধায় আমরা বুঝতে পারছি আক্রান্তের হার কেমন।”

চীনের চিকিৎসকরা বাংলাদেশে বেশি বেশি পরীক্ষা করতে এবং সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “এটাই হচ্ছে মূলমন্ত্র। ঘরে থাকলে রোগটা অন্যের কাছে সংক্রমিত হবে না। বেশি বেশি পরীক্ষা করলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও আমাদের একই ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। আমাদের তিনি প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিচ্ছেন।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা এবং আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাও উপস্থিত ছিলেন ব্রিফিংয়ে।

নতুন আক্রান্তদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, ১১২ জনের মধ্যে ৭০ জন পুরুষ, ৪২ জন নারী। তাদের মধ্যে ৬২ জনই ঢাকায়, ১৩ জন নারায়ণগঞ্জের, বাকিরা দেশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

এদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ১০ বছরের নিচে। ১১ থেকে ২০ বছরের ৯ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১৫ জন, ৩১ খেকে ৪০ বছরের ২৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৩ জন। ৬০ বছরের বেশি বয়স- এমন আছেন ১২ জন।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দেশব্যাপী সংগ্রহ করা ১ হাজার ৯৭ জনের মধ্যে ঢাকার মধ্যে ৬শ ও ঢাকার বাইরের ৪ শতাধিক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৯০ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, দেশের সকল বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন থেকে করোনা আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

Exit mobile version