মার্চের ৩০ তারিখ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ জন হলেও ঠিক এক মাস পর ২৪ ঘন্টার হিসেবে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৬৪ জনে।
নতুন করে ৫৬৪ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ায় বৃহস্পতিবার মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৬৬৭ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬৮ জন।
গত ৩০ মার্চ একজনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সেদিন দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ৪৯ জন।
তবে হঠাৎ করেই দেশব্যাপি ঢিলেঢালাভাব চলে আসায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন। গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বলেন, মে মাসে যেখানে সংক্রমন বেড়ে যাবার শঙ্কা করা হচ্ছে সেখানে স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শের বাইরে দোকান পাট খোলার সময় বাড়ানো হয়েছে-এটা দুর্ভাগ্যজনক। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির পিএইচডি ডিগ্রিধারী এই গবেষক বলছেন, যখন আরো বেশি সাবধান হওয়া প্রয়োজন তখন এই সিদ্ধান্তগুলি বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে তিন জন পুরুষ, দুই জন নারী। তাদের মধ্যে দুজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, তিন জনের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
হাসপাতালে থাকা আরও ১০ জন সুস্থ হয়ে ওঠায় এ পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছেন ১৬০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ হাজার ৯৬৫টি।