Site icon Health News

এক সপ্তাহেই প্রাণহানি ১৫৮

মৃত্যুর পরিসংখ্যান নামছে না ২০ এর নিচে। গত ২১ মে থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বরং ২০ থেকে ২৮ পর্যন্ত উঠেছে। খবরের সেই ধারাবাহিকতা টিকে রইলো ঈদের একদিন পরও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুধবার জানালো, গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণহানি ঘটেছে ২২ জনের। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যেই ছিলেন ১৪ জন। নমুনা পরীক্ষা কম থাকায় আগের দিন আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এলেও আবারো তা দেড় হাজারের উপরে উঠে গেছে। এমন বাস্তবতার মধ্যে ছুটি আর না বাড়িয়ে ৩১ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত সীমিত আকারে অফিস খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান মেলার পর এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩৮ হাজার ২৯০ ছাড়িয়েছে। মোট মৃত্যু ৫৪৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বুধবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৪৬ জন। সব মিলিয়ে মোট ৭ হাজার ৯২৫ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও দুজন নারী। তাদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন; ১০ চট্টগ্রাম বিভাগের এবং দুইজন জন সিলেট বিভাগের।

মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭ জন , ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। নাসিমা সুলতানা বলেন, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।

গত এক দিনে দেশের ৪৮টি ল্যাবে ৮ হাজার ১৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

এদিকে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয় বলছে, সোমবার সন্ধ্যা দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৭ লাখ ৯  হাজার । এদের মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ সাড়ে ৫২ হাজারের বেশি।  আর ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৪ লাখ ৫১ হাজারের বেশি মানুষ।

Exit mobile version