Site icon Health News

‘এখন ক্লাস্টার থেকে ছড়াচ্ছে কোভিড-১৯’

দেশে একদিনে নতুন শনাক্ত হওয়া ১১২ জন করোনা রোগীর মধ্যে ঢাকা শহরেই রয়েছেন ৬২ জন। সব মিলিয়ে ঢাকা মহানগরীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আছেন ১৯৬ জন।

আর ঢাকা জেলার মধ্যে আরো ১৩ জন। এছাড়া ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগি মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় আছেন মোট ৪২ জন।

দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জের ১৩ জন। বাকীরা দেশের বিভিন্ন স্থানের। আক্রান্তের পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বাদেই এখন দেশের ২১ জেলার এ ভাইরাসের রোগি রয়েছেন।

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বৃহস্পতিবার বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কয়েকটি ‘ক্লাস্টার’ (এক জায়গায় একসঙ্গে কয়েকজন আক্রান্ত) থেকে এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি যত ২৪ ঘণ্টায় যত রোগী হয়েছেন তার বেশিরভাগই ঢাকায়। এরপরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জের। নারায়ণগঞ্জকে আমাদের জন্য একটা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছি। নারায়ণগঞ্জের বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে আমরা কাজ করছি।

“এখন বিভিন্ন জায়গা, বিভিন্ন জেলায় যেসব রোগী শনাক্ত হচ্ছে তারা ইতিপূর্বে আক্রান্ত এলাকা থেকে গেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি আমরা আগে যেসব ক্লাস্টার চিহ্নিত করেছিলাম সেসব জায়গা থেকে গিয়েছেন, যেমন নারায়ণগঞ্জ। অনেকগুলো জেলাতেই যখন আমরা রোগ চিহ্নিত করছি তখন দেখছি যে তারা (আক্রান্তরা) নারায়ণগঞ্জ থেকে গেছেন।”

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সবার ঘরে থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এই তথ্য থেকে বোঝা যায়।

“আমরা বারবার বলেছি, আমাদের সাধারণ ছুটিকে ছুটি হিসেবে নিলে হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছেন সবার ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে। ঘরে থাকাটাই এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় অংশগ্রহণ।”

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, “ঘরে থাকতে হবে। আর এজন্য এখন সংক্রমণ ব্যাধি আইন প্রয়োগ করতেও আমরা দ্বিধা বোধ করছি না।”

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন নভেল করোনাভাইরাসে। তাদের ৭০ জন পুরুষ ৪২ জন নারী।

Exit mobile version