করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি আছে- এ মুহুর্তে এমন কেউ নেই বাংলাদেশে। গত ৮ মার্চ যে ৩ জনের শরীর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল তাদের সবাই সেই ঘাতক উপসর্গ থেকে এখন মুক্ত।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে শনিবারের এই ব্রিফিংয়ে সবচেয়ে বেশি যে বিষয় আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল তা হলো ইতালি ফেরত প্রবাসীদের নিয়ে করণীয়।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, ইতালি থেকে শনিবার ভোরে দেশে পৌঁছানো ১৪২ জন প্রবাসীর শরীরের বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্তির পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।তবে
তাদেরকে রাজধানীর আশকোনার হজকাম্পে বাধ্যতামুলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
“তাপমাত্রা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই। তবে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।”
বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া ১৩৬ দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে ইউরোপের দেশ ইতালির নাগরিক। সেই দেশ থেকেই শনিবার ভোরে ফিরেছেন ১৪২ জন।
এ বিষয়ে পরিচালক মীরজাদি বলেন, অন্যান্য অনেক কিছুর মতোই আমরা বলবো এ মুহুর্তে বিদেশ থেকে কেউ দেশে না ফিরলেই ভালো। কারণ তারা আক্রান্ত না হলেও যে বিমানবন্দর ব্যবহার করে দেশে ফিরছেন সেখান থেকেও আক্রান্ত হতে পারেন।
তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি তাদের কাছে এ মুহুর্তে ৯ জন আইসোলেশন ও ৪ জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন। আর এ মুহুর্তে সারাদেশে স্বেচ্ছাসহ মোট ১ হাজার ৬০৯ জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ২১১ জনের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে।
আইইডিসিআর জানায়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের ১৩ টি রাজ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগির খবর পাওয়া গেছে।
বিবিসি বলছে, এই মুহুর্তে বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাস আক্রান্তের কেন্দ্র হয়ে উঠছে ইউরোপের দেশ গুলি। বিশেষ করে ইতালি, যেখানে গত ২৪ ঘন্টায় আড়াইশ মানুষ মারা গেছেন। সবমিলিয়ে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ১২৬৬ জন। আর আক্রান্ত ১৭ হাজার ৬৬০ জন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত প্রান হারানো ১১ জনের মধ্যে ২ জন বাংলাদেশী ব্রিটিশও রয়েছে।
জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।সবশেষ হিসেব অনুযায়ি বিশ্বে করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন ৫ হাজার ২৯৭ জন। তবে আক্রান্ত ১ লাখ ৪০ হাজারের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন শতকরা ৫১ জনই।