Site icon Health News

ওষুধ সংরক্ষণে উদাসীনতা!

ওষুধ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বেশিরভাগ দোকান নিয়ম-নীতি অনুসরণ করেন না বলে দাবি করা হয়েছে ফার্মাসিস্টদের এক অনুষ্ঠানে।

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে ওষুধ সংরক্ষণে উদাসীনতার দিকটি দেখিয়ে এর বিরূপ প্রভাব নিয়ে সতর্ক করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মেসি বিভাগ আয়োজিত ‘কিভাবে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের মান বৃদ্ধি করা যায়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় বক্তারা বিপণনের পাশাপাশি পণ্যের মানোন্নয়নের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।

সানোফি বাংলাদেশের তানভীর সজীব বলেন, “বিশ্ব খাদ্য সংস্থার তথ্য মতে, সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করার কারণে প্রায় ৫০ শতাংশ ইনসুলিন বা ভ্যাকসিন জাতীয় পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরও ভয়াবহ। বেশিরভাগ ওষুধের দোকানই কুল চেইন ম্যানেজমেন্ট মেনে চলে না।”

গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের নাজনীন সুলতানা বলেন, “দেশে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট ছাড়াই ওষুধ সংরক্ষণ ও বিতরণ করা হয়ে থাকে। প্যারসিটামল বা ওমিপ্রাজলের মতো ওষুধও বেশি মাত্রায় প্রয়োগ হলে যে শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে, সেটাও তারা জানে না।”

এসিআইয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওষুধের ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান বজায় থাকা আবশ্যিক শর্ত। অনেক সময় অধিক লাভ করতে গিয়ে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো মানহীন কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। এতে ওষুধ উপকারের বদলে বিষে পরিণত হয়। কঠোর আইন প্রণয়ণের মাধ্যমে এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত।

আলোচকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমাজ বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফার্মাসির কোর্স কারিকুলাম প্রণয়নের পরামর্শ দেন।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারপারসন ইভা রহমান কবির বলেন, “গবেষণা খাতটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাজার ব্যবস্থা ও যুগের সাথে তাল রেখে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম সাজানো হয়েছে।”

গোলটেবিল বৈঠক, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস’ পালন করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

Exit mobile version