Site icon Health News

ওসমানী মেডিকেলে কিশোরী ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজন এক কিশোরীকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই ধর্ষণের জন্য শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মাকামে মাহমুদই দায়ী কি না, এখন তা নিশ্চিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে পুলিশ।

ওই হাসপাতালেরই ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়, যে প্রতিবেদন পুলিশের হাতে পৌঁছেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আকবর হোসাইন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, “ওই রিপোর্টে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে।”

ওই কিশোরী এবং সেই শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এখন সব যাচাই করার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হবে।

এদিকে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছে।

এসআই আকবর বলেন, ওই কিশোরী আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে।

গত ১৫ জুলাই রাত দেড়টার দিকে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ মাহী নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে (১৪) ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। মেয়েটি তার নানির সঙ্গে হাসপাতালে ছিল।

পরদিন মাহীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মেয়েটির বাবা কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন।

অধ্যাপক এন কে সিনহাকে প্রধান করে ৫ সদস্যের যে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়, তাদের সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কমিটি আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছে।

অধ্যাপক সিনহা বলেন, “অভিযুক্ত এখন কারাগারে আছেন বলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে। এতে আরও কিছু সময় প্রয়োজন।”

মাকামে মাহমুদ মাহী ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

Exit mobile version