ঢাকা ওয়াসার পানির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে তা পরীক্ষা করে দেখতে ৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দিল আদালত।
স্থানীয় সরকার প্রশাসন, বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং অ্যন্ড কনসালটেশন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি ও বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে বিভাগ ও আইসিডিডিআরবি’র প্রতিনিধিরা থাকবেন এই কমিটিতে।
কমিটিকে আগামী দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে ঢাকা ওয়াসার পানির মান পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে।
একটি রিট আবেদনে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ কমিটি গঠন করে দেয়।
ওয়াসার নিরাপদ পানি সরবরাহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নিরাপদ পানি সরবরাহে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছে আদালত।
স্থানীয় সরকার প্রশাসন, স্বাস্থ্য সচিব, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এজন্য তাদের সময় দেওয়া হয়েছে চার সপ্তাহ।
বিশ্ব ব্যাংকের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন এবং তা নিয়ে প্রকাশিত খবর সংযুক্ত করে এই রিট আবেদনটি করা হয়।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ অপরিচ্ছন্ন এবং অনিরাপদ উৎসের পানি পান করছে। নিরাপদ উৎসগুলোর ৪১ শতাংশই ক্ষতিকারক ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত। ১৩ শতাংশে রয়েছে আর্সেনিক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাইপলাইনের পানির ৮২ শতাংশেই রয়েছে ই-কোলাই। ৩৮ শতাংশ টিউবওয়েলের পানিতে পাওয়া গেছে এই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া।
পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহের জন্য ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াকে দায়ী করা হয়।