নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে স্ট্রেস বা অবসাদে ভোগে মানুষ। আপনি অবসাদে ভুগছেন কি না, তা জানতে মিলিয়ে নিতে পারেন এই লক্ষণগুলো।
শরীরে র্যাশ
হঠাৎ করেই শরীরে লাল লাল র্যাশ দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত অবসাদে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সাবান, লোশন, ঠাণ্ডা ও গরমে ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে পড়তে পারে, যার ফল এই র্যাশ। এরকম পরিস্থিতিতে আক্রান্ত স্থানে ঠাণ্ডা, ভেজা তোয়ালে দিয়ে রাখলে আরাম পাওয়া যায়। সাথে খেতে হবে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ।
ওজন বাড়া-কমা
নিউ ইয়র্কের ইচান স্কুল অব মেডিসিনের প্রাইমারি কেয়ার ফিজিশিয়ান ও ক্লিনিক্যাল ইনস্ট্রাকটর শানা লেভিন বলেন, “স্ট্রেসের কারণে করটিসল হরমোন নির্গত হওয়ায় রক্তের শর্করা প্রক্রিয়াজাত করা এবং খাদ্য থেকে পাওয়া চর্বি, আমিষ ও শর্করা বিপাকের ক্ষমতা কমে যায় শরীরে। যার ফলাফল হল ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া।”
মাথাব্যথা
অতিরিক্ত অবসাদের প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের নার্ভ ও রক্তনালীর ওপর। যার ফলাফল হলো মাথাব্যথা। এমনকি যে ব্যক্তির কখনও মাথাব্যথা হয়নি, তারও এমন সমস্যা হতে পারে। আর কারও মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে তা আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। মাথাব্যথা শুরু হওয়ার মুহুর্তেই ল্যাভেন্ডার বা পেপারমেন্ট তেল ব্যব্যহার করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
পেটের সমস্যা
স্ট্রেসের কারণে পেটে গ্যাস, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে। পরিত্রাণ পেতে খেতে হবে আদা চা বা ওষুধ।
প্রায়ই সর্দি
অবসাদের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সহজেই ভাইরাসজনিত ঠান্ডা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ড. লেভিন।
ব্রণ
বয়:সন্ধিকালীন সময়ে ব্রণ হয় বলে মনে হলেও অবসাদের কারণেও হঠাৎ করেই এটা হতে পারে। অবসাদে থাকলে শরীরে করটিসলের মতো হরমোন বেশি মাত্রায় নির্গত হয়। এতে লোমকূপে বেশি মাত্রায় তেল জমে। ময়লা, মরা চামড়া ইত্যাদির সঙ্গে এ তেল মিশে তৈরি হয় ব্রণ।
মানসিক সমস্যা
স্ট্রেস মানসিকভাবেও অসুস্থ করে ফেলতে পারে কোনো ব্যক্তিকে। অতি মাত্রায় স্ট্রেস হরমোনের কারণে কোনো কাজে মনোযোগ দেওয়া, কিছু মনে রাখায় সমস্যা হতে পারে। একইসঙ্গে বাড়তে পারে উদ্বেগ ও হতাশা।
চুল পড়া
প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে অবসাদের কারণে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে অস্বাভাবিক হারে। তবে অবসাদ কমতে শুরু করলেই চুল পড়াও কমে যায়।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট