Site icon Health News

করোনাভাইরাস: স্পেনে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৭৩৮ জনের

ইউরোপের একপ্রান্তের দেশ স্পেন এবার যেনো পাল্লা শুরু করলো ইতালির সাথে। অন্য কোনো কিছুতে নয়, এই প্রতিযোগিতা যেনো মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে।

ইতিমধ্যে স্পেন টপকে গেছে চীনকে, যেখানে শুরু হয়েছিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মরণযাত্রা। এদিনে ২৪ ঘন্টায় এবার স্পেনে মারা গেলেন ৭৩৮ জন। স্তব্ধ রিয়াদ মাদ্রিদ অথবা বার্সেলোনা।

জগত যেখানে ফুটবল প্রতিযোগিতায় মত্ত থাকে, সেখানে এবার পাল্লা চলছে মরণের। বাতাসে কোনো জয়ের উল্লাস নেই, আছে একের পর এক স্বজন হারানোর আর্তনাদ, নীরব হাহাকার।

স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে বুধবার সকাল নাগাদ সব মিলে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৩৪ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৬১০।

ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসা দরকার এমন মারাত্মক রোগী আছে ৩ হাজার ১৬৬ জন। আর সুস্থ হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৭ জন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে স্পেনে চলছে ১১ দিনের লকডাউন। তারপরও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দেশটিতে কভিড-১৯ এ অর্ধেকের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে মাদ্রিদে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে সেখানে ১ হাজার ৮২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃদ্ধ নিবাসগুলোতেই মৃত্যুর হার বেশি।

মাদ্রিদ্র এবং বাস্ক কাউন্টিতে প্রথমদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল এবং এ জায়গাতেই ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর কিছুদিনের মধ্যেই মাদ্রিদের স্কুলগুলো বন্ধ করা হয়।

তবে দেশজুড়ে লকডাউনের পদক্ষেপ তখনও নেওয়া হয়নি। আর এতেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশজুড়ে লকডাউনের পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই স্পেনের ১৭ টি অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে গিয়েছিল।

১৪ মার্চে স্পেনজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। তা এখন ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু এ অবরুদ্ধ অবস্থাতেও থামছে না মৃত্যু। ঠেকানো যাচ্ছে না সংক্রমণ।

কর্তৃপক্ষ আরো বেশি মানুষকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার আওতায় এনেছে। এতে করে নতুন আক্রান্ত ধরা পড়ছে। গত মঙ্গলবার আক্রান্তের হার ২০ শতাংশ বেড়েছে। আর একই সময়ে মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে ২৭ শতাংশ।

বিশ্বজুড়ে এখন কেবল ইতালিতেই করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা (৬,৮২০ জন) স্পেনের তুলনায় বেশি। আর চীনে গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সেখানে মৃত্যু হয়েছিল ৩ হাজার ২৮১ জনের।

Exit mobile version