Site icon Health News

কাশি থামাবে তুলসি চা

জ্বর নেই, কফ নেই, বুকে ঘড় ঘড় শব্দ নেই কিন্তু যখন তখন খুক খুক কাশি। বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক এই শুকনা কাশি দূর করতে তুলসি চা হতে পারে সমাধানের এক সহজ উপায়।

এক কাপ তুলসি চা বানানোর আগে জেনে নিন শুকনা কাশির কারণ।

১. অ্যাজমা

অ্যাজমার অন্যতম একটি লক্ষণ হলো শুকনা কাশি। তাই শুকনা কাশি হলে সতর্ক হওয়া উচিত।

২. গ্যাসট্রোয়েফাগিয়াল রিফ্লাক্স

এটি হলো খাদ্যনালীর একটি বিশেষ ধরণের রোগ। পাকস্থলীর এসিড যখন খাদ্যনালীতে গিয়ে পৌঁছায় তখনই এ রোগ হয়। মুখ থেকে পাকস্থলী পর্যন্ত সংযোগ খাদ্যনালীর মাধ্যমে। আর অতিরিক্ত এসিডের কারণে খাদ্যনালীতে সমস্যা তৈরি করে। আর এর ফলে হতে পারে কাশি।

৩. ভাইরাস সংক্রমণ

ঠাণ্ডা লাগার জন্য দায়ী বিভিন্ন ভাইরাসের কোনো একটির সংক্রমণ হলে কাশি হতে পারে।

৪. পরিবেশগত সমস্যা

ধোঁয়া, দূষণ, ধুলা, রাসায়নিক বিভিন্ন উপকরণের কারণে কাশি হতে পারে।

৫. ধূমপান

ধূমপান শুকনা কাশির অন্যতম কারণ। সিগারেটে থাকা টক্সিন সরাসরি নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে ঢুকে কাশি সৃষ্টি করতে পারে। এসব টক্সিন ফুসফুসে প্রবেশ করে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং শরীর কাশির মাধ্যমে তা বের করে দেয়।

৬. ব্রঙ্কাইটিস

তিন চারদিন ধরে ঠাণ্ডা থাকলে অনেক সময় ব্রঙ্কাইটিস হতে পারে। এ রোগের লক্ষণ হলো শুষ্ক কাশি। কাশি দীর্ঘদিন ধরে থাকলে শ্লেষ্মাও হতে পারে।

শুষ্ক কাশি নিরাময়ের উপায়

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তুলসি পাতার জুড়ি নেই। শুষ্ক কাশি নিরাময়ের ভালো উপায় হলো তুলসি চা। তুলসি চায়ে শুষ্ক কাশিই নয় বরং ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা ও ফুসফুসের রোগেও উপকার পাওয়া যায়।

বানিয়ে নিন এক কাপ তুলসি চা

একটি প্যানে পরিমাণ মত পানি ও ৫-৭টি তাজা ও পরিস্কার তুলসি পাতা দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। এরপর চায়ের কাপে ছেঁকে খেয়ে নিন। চাইলে সঙ্গে দারচিনি, আদা, কালো গোল মরিচ ও মধুও মেশানো যায়। ভালো ফল পেতে খেতে হবে নিয়মিত।

চা যাদের পছন্দ নয় তারা তুলসি পাতার রস করে সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খেতে পারেন রোজ দুই বেলা।

রোজ রোজ তুলসি পাতা কেনার ঝক্কি এড়াতে বাড়ির বারান্দায় লাগাতে পারেন তুলসির গাছ। আর সামান্য যত্নেই তুলসি বেড়ে ওঠে ভালভাবে।

সূত্র: এনডিটিভি

Exit mobile version