চলতি বছর বিশ্বে আরও প্রায় দুই কোটি মানুষের দেহে ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে এবং প্রাণঘাতী এই রোগে হারাতে পারে আরও এক কোটি প্রাণ।
ক্যান্সার নিয়ে গবেষণারত একটি সংগঠন এই আভাস দিয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
২০১২ সালে ১ কোটি ৪১ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং ওই বছর এতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৮২ লাখ।
এই তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে দ্য ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) ২০১৮ সাল নিয়ে ধারণা দিয়ে বলেছে, বিশ্বজুড়ে ক্যান্সার আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
তাদের ধারণা, ২০১৮ সালে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যায় যোগ হতে পারেন ১ কোটি ৮১ লাখ মানুষ এবং এতে মারা যেতে পারেন ৯৬ লাখ মানুষ।
তাদের হিসাবে, বিশ্বের প্রতি পাঁচজনে একজন পুরুষ এবং প্রতি ছয়জনে একজন নারী ক্যান্সারের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
গবেষণা সংস্থাটি ১৮৫টি দেশে ৩৬ ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত করেছে। ফুসফুসের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ও মলাশয়ে ক্যান্সারের রোগীই বেশি পেয়েছে তারা।
আইএআরসির গবেষণার মজার দিকটি হচ্ছে, গরিব দেশগুলোর তুলনায় ধনী দেশগুলোর মানুষের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। এর কারণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে জীবন-যাপন পদ্ধতি।
গবেষকরা বলছেন, এখন বিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সারের রোগী বেশি এবং এতে নারীদের আক্রান্তের হার বেশি।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বেশি যুক্তরাষ্ট্র, হাঙ্গেরি, ডেনমার্ক, চীন ও নিউজিল্যান্ডের নারীদের।
এজন্য ধূমপানকে দায়ী করে যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার রিসার্চের কর্মকর্তা জর্জ বাটারওর্থ।
তিনি বলেন, “সিগারেট এখন নারীদের কাছে জনপ্রিয়, তামাক কোম্পানিগুলোর আগ্রাসী ব্যবসা এতে প্রভাব ফেলছে।”
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যান্সার রোগীর বৃদ্ধি এবং মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটবে এশিয়ায়। এই মহাদেশে মানুষের সংখ্যা বেশিই শুধু এর কারণ নয়, কিছু ক্যান্সার সংক্রমণের হার এই অঞ্চলেই বেশি।
চীনে লিভার ক্যান্সারের রোগী বৃদ্ধিতে এর উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়।