Site icon Health News

ক্যান্সার রোগী বছরে আড়াই লাখ বাড়ছে

বাংলাদেশে প্রতি বছর আড়াই লাখ নতুন ক্যান্সার রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ক্যান্সার বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এই তথ্য জানানো হয়।

সভায় মূল প্রবন্ধে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মো. মোয়াররফ হোসেন বলেন, “দেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত। প্রতিবছর নতুন করে আড়াই লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর মারা যাচ্ছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।”

নগরায়ণের সঙ্গে সঙ্গে শহরে এই মারণব্যাধির বিস্তার ঘটার বিষয়টি তুলে ধরে রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজে নামতে আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুয়ায়ী ১০ লাখ মানুষের জন্য একটি করে ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র থাকা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের জন্য ১৬০টি কেন্দ্র থাকা দরকার হলেও আছে ২৬টি। এর মধ্যে সরকারি ১৬টি ও বেসরকারি ১০টি।

ক্যান্সারের ব্যয়বহুল চিকিৎসার দিকটির কথা তুলে ধরে অধ্যাপক মোয়াররফ বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা ব্যয় সরকারি হাসপাতালের চেয়ে ২০ গুণ বেশি।

সংক্রামক ব্যাধি-বিষয়ক নাগরিক সংগঠন নন-কমিউনিকেল ডিজিজ ফোরাম ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমিনেন্স এই সভার আয়োজন করে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান তালুকদার বলেন, ক্যানসার বিষয়ে বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। কাজ করতে গেলে তথ্য থাকা খুবই জরুরি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান বলেন, দেশে ৬৭ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগে।

অনুষ্ঠানে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ ফোরামের সদস্যসচিব মো. শামীম হায়দার তালুকদার নগরের ক্যান্সার মোকাবেলায় একটি মঞ্চ তৈরির জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।

Exit mobile version