Site icon Health News

খালি হাতেই পার হতে হবে দ্বিতীয় ঢেউ !

শণাক্তের এক বছরের বেশি সময় পার হবার পরও এখনো দেখা মেলেনি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কার্যকর ভ্যাকসিনের। ফলে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা অনেকটা খালি হাতেই করতে হচ্ছে বিশ্বকে, যে লড়াইয়ে মাত্র ৩৬৫ দিনে মারা গেছেন পৌণে ১৪ লাখের বেশি মানুষ।
বিশ্বব্যাপি ক্ষমতার প্রতাপ দেখানো দেশগুলোর তোড়জোড় অবশ্য থেমে নেই। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া আগামী বছরের শুরুতেই ভ্যাকসিন আবিস্কার ও তা বিপননের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু চলতি শীত বা ২য় ঢেউয়ের মধ্যে সেই ভ্যাকসিন এসে পৌঁছাবে না। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরুরিবিষয়ক পরিচালক মাইকেল রায়ান এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন। গত ১৮ নভেম্বরও তিনি বলেছেন, ভ্যাকসিনকে একক কোনো জাদুকরী সমাধান হিসেবে দেখা ঠিক হবে না।
জনগণের প্রশ্নোত্তর পর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা বলেন, যেকোনো জায়গায় উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে সবার কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছাতে চার থেকে ছয় মাস লাগবে। বলছেন ‘অথচ অনেক দেশে করোনা দ্বিতীয় সংক্রমণ ঢেউ চলছে এবং তা চলবে। ফলে আমাদেরকে ভ্যাকসিন ছাড়াই সংক্রমণের চূড়ান্ত মোকাবেলা করতে হবে।’ খবর : বিবিসি, সিনহুয়া, ওয়ার্ল্ডোমিটার, রয়টার্স, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, সিএনএন।

মাইকেল রায়ান সতর্ক করে আরো বলেন, ‘কেউ কেউ ভ্যাকসিনকেই একমাত্র সমাধান বিবেচনা করছে। কিন্তু যদি ভ্যাকসিনকেই একমাত্র সমাধান ভাবি তা হলে কোভিড-১৯ জিরো পর্যায়ে পৌঁছাবে না।’ এ দিকে করোনার বৈশ্বিক সংক্রমণ প্রায় পাঁচ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করছে। এতে এই আশা তৈরি হয়েছে যে, করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা এসব মানুষ হয়তো এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে সুরক্ষা পাবেন।
গবেষকরা বলছেন, বিখ্যাত ব্রিটিশ চিকিৎসাবিষয়ক জার্নাল ল্যানচেটে প্রকাশিত দ্বিতীয় দফার ফলাফলে ভ্যাকসিনটির ডোজ নেয়া ৫৬০ সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর এ-সংক্রান্ত যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা ‘আশাজাগানিয়া’। এ ছাড়া এই ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে ল্যানচেটে পিয়ার রিভিউ হওয়া ফলাফলে জানানো হয়েছে।
ভ্যাকসিনটি যারা নিচ্ছেন তাদের শরীরে বৃহৎ পরিসরে মহামারী কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঘটে কি না; তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ বিষয়টিও দেখার চেষ্টা করছেন গবেষকরা। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রাথমিক ফলাফল পাওয়ার আশা করছেন তারা।
অস্ট্রেলিয়ার একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত মা-বাবার মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হতে পারে।

Exit mobile version