Site icon Health News

গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড়েছে। গত কয়েকদিনে পাঁচ শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে পানিবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে।

চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের মধ্যে অসচেতনভাবে মানুষ খাবার ও পানীয় গ্রহণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহাবুবুর রহমান খান হেলথ নিউজকে বলেন, “রাজশাহী মেডিকেলে ডায়রিয়ার প্রকোপ এখন অনেক বেশি। ডায়রিয়া রোগী যারা ভর্তি হচ্ছে, তাদের স্টুল একদম পানির মতো পাতলা।”

ওয়ার্ডে জায়গা না থাকায় রোগীদের থাকতে হচ্ছে ঝেতে, বারান্দায়।

তিন দিন আগে পুরুষ ওয়ার্ডে যে ১৭২ জন ভর্তি ছিলেন তার মধ্যে ৩৮ জন ডায়রিয়ার রোগী। এর মাঝে চার- পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছিল বলে জানান ডা. মাহাবুব।

তিনি বলেন, “লক্ষ্য করা গেছে, শহরের আশেপাশের সকল এলাকা থেকে ডায়রিয়ার রোগী আসছে। গ্রাম থেকেও আসছে এবং  তা সিরিয়াস রোগী। আমাদের চিকিৎসক এবং নার্সদের উপরে চাপ বেড়েছে। এখন আগের থেকে প্রচুর পরিমাণে বেশি স্যালাইন লাগছে।”

রাজশাহীর সিভিল সার্জন সঞ্জিত কুমার সাহা হেলথ নিউজকে বলেন, “ডায়রিয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত ওষুধ-স্যালাইন রয়েছে।”

কী করণে ডায়রিয়ার এই বিস্তার- জানতে চাইলে ডা. মাহবুব বলেন, “এই সময়ে গরমের কারণে মানুষ বাইরের পানি এবং পানি জাতীয় খাবার বেশি খায়। পানি ও খাবার যদি বিশুদ্ধ না হয় তা হলে এই সমস্যা থেকে যাবে।”

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. খলিলুর রহমান হেলথ নিউজকে বলেন, মানুষ পথে যে খাবার খাচ্ছে, তা সঠিকভাবে সংরক্ষণ হয় না। এ সব খাবার খাওয়ার ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এ সকল খাবার থেকে এখন খুব সাবধান হতে হবে। আগের তুলনায় বর্তমানে শিশুরাও এখন অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পরিবারের সবাইকে শিশুদের বিষয়ে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।

গরমে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রকাপের বিষয়ে রামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. মো. ছানাউল হক মিঞা বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি পান না করা।

তিনি বলেন, শিশুদের অভিভাবকদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে এখন। ছোট বাচ্চাদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। মায়েদেরও সতর্কভাবে খাবার এবং পানি নিতে হবে।

Exit mobile version