Site icon Health News

গর্ভধারণে ও গর্ভপাত রোধে সহায়তা করতে পারে ভিটামিন ডি

গর্ভপাতের পর নতুন করে গর্ভধারণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে হবু মায়ের শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি। এমনকি ঘটতে পারে আবারো গর্ভপাতের ঘটনা।

সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের গবেষকদের পর্যালোচনায় পাওয়া গেছে এ তথ্য। তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানচেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এনডোক্রিনোলোজি সাময়িকীতে।

গবেষণায় বলা হয়, একবার গর্ভপাতের পর গর্ভধারণে আগ্রহী যেসব নারীর শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে তাদেরই অন্যদের তুলনায় গর্ভধারণ ও জীবিত সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বেশি।

প্রধান গবেষক সুন্নি এল মামফোর্ড বলেন, “গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করে।”

১২শ’ নারীর উপর পরিচালিত এ গবেষণায় গর্ভধারণের আগেই তাদের শরীরের ভিটামিন ডি’র মাত্রা পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। এরপর গর্ভাবস্থার আট সপ্তাহে তা আবারো পরীক্ষা করা হয়। প্রতি মিলিলিটার রক্তে ৩০ ন্যানোগ্রামের চেয়ে কম পরিমাণ ভিটামিন ডি কে অপর্যাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করেন গবেষকরা।

প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গর্ভধারণের আগেই ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থাকা নারীদের চেয়ে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকা নারীদের গর্ভধারণে ও জীবিত সন্তান জন্মদানের হার ছিলো যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ। আর গর্ভবতী নারীদের প্রতি মিলিলিটার রক্তে ১০ ন্যানোগ্রাম ভিটামিন ডি বাড়ায় তাদের গর্ভপাতের ঝুঁকিও কমেছে ১২ শতাংশ। তবে গর্ভাবস্থার আটসপ্তাহে শরীরের ভিটামিন ডি’র পরিমাণের সঙ্গে গর্ভপাতের কোনো সম্পর্ক খূঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে গবেষকরা বলেন, গবেষণায় ভিটামিন ডি’র সাথে গর্ভধারণ বা গর্ভপাতের সম্পর্কর কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর গর্ভপাতের ঝুঁকিতে থাকা নারীদেরকে ভিটামিড ডি প্রদানে তাদের গর্ভধারণের বা জীবিত সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বাড়বে কিনা সে বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন।

সূত্র: সায়েন্স ডেইলি

Exit mobile version