Site icon Health News

গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া সমাধান

গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি আমাদের দেশে সাধারণ একটা রোগ , নিত্য দিনের সমস্যা। এমন লোক খুব কম যাদের এ সমস্যা নেই।

গ্যাস্ট্রিকের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ হলো, জিহ্বা সাদা বর্ণ ধারণ, তলপেটে গ্যাস উৎপন্ন হওয়া, পেট ব্যাথা করা, বুক জ্বালা পোড়া করা।

গ্যাস্ট্রিকের কারণ:

গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ঘরোয়া সমাধান

পুদিনা পাতা: হালকা চায়ের লিকারে কয়েকটি পুদিনা পাতা ছেড়ে দিন। প্রতিদিন খান এসিডিটি ও বদহজম দূর হবে। এছাড়া সবুজ চা, তুলসি চা, পাকস্থলীর হজম শক্তি বৃদ্ধি করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।

গুড়: গুড় বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে তখন একটুকরো গুড় মুখে নিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায়। তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি নিষিদ্ধ।

 জিরা:  জিরা ভেজে আধা গুড়া করে একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় খান ।

ডাবের পানি: ডাবের পানি গ্যাস্ট্রিকের খুব ভালো পথ্য। ডাবের পানিতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং মিনারেল। তাই নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

লং: গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় লং হতে পারে সঠিক পথ্য। দুইটি লং মুখে নিয়ে চিবালে এর রস অনেকটা উপকারে আসতে পারে আপনার।

মাঠা: দুধ এবং মাখন দিয়ে তৈরি মাঠা আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। এসিডিটি দূর করতে টনিকের মতো কাজ করে মাঠা। স্বাদ বাড়াতে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া নিন।

লেবুর রস: কুসুম গরম পানিতে দুই টুকরা লেবুর রস ও লবন মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনি আরাম বোধ করবেন।

হলুদের পাতা: রান্নার জন্য যে হলুদ ব্যবহার হয় তার পাতা গ্যাস্ট্রিকের খুব ভালো পথ্য। হলুদের পাতার রস এককাপ দুধের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

আলুর রস
আলু চিপে অথবা ব্লেন্ড করে রস বের করুন। তারপর আধা কাপ পরিমাণ রস প্রতিদিন খাবারের আগে খান।

আদার রস: প্রতিবেলা খাবার পর একটুকরো আদা চিবিয়ে খান, পেটে গ্যাস হবে না। কাঁচা আদা খেতে সমস্যা হলে রান্নায় বেশি পরিমাণ আদা ব্যবহার করুন।

রসুনের রস: রসূন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য একটি চমৎকার পথ্য। রসূন কুঁচি কুঁচি করে কেটে তাতে কালোজিরা এবং অল্প পরিমাণ মরিচ নিয়ে পানিতে ফুটান।ঠাণ্ডা হলে খেয়ে নিন। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার খান।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার: এককাপ গরম পানিতে দুই চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। খেয়ে নিন। হাতের কাছে অ্যাপল সিডার ভিনেগার না থাকলে সাধারণ ভিনেগার দিয়েও খেতে পারবেন।

গ্যাস্ট্রিক থাকলে প্রচুর পরিমাণ পানি খান। পানি খেতে হবে খালি পেটে। খাবার  শেষ করেই পানি খাবেন না , খাবার শেষ করার আধা ঘণ্টা পর খাবেন তাহলে অ্যাসিডিটি হবে না।

Exit mobile version