হালিশহর ও আগ্রাবাদ এলাকায় জন্ডিসের প্রকোপের কারণ অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানিতে হেপাইটাইটিস-ই আছে কি না, তা পরীক্ষা করতে বলেছে হাইকোর্ট।
রোববার দেওয়া এই নির্দেশে পানি পরীক্ষার এক মাসের মধ্যে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। সেই কমিটির প্রতিবেদন ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।
হালিশহর, আগ্রাবাদ এবং সংলগ্ন এলাকায় জন্ডিসে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেওয়া হয়েছে।
গত মে মাসে বন্দর নগরীর হালিশহর এলাকায় ডায়রিয়া ও জন্ডিসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর নিরাপদ পানি সরবরাহে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যর্থতাকে দায়ী করে বিভিন্ন সংগঠন ও নগরবাসী।
জুনের শেষে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে তিনজন মারা যাওয়ার খবর প্রকাশের পর চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তখন পর্যন্ত হালিশহর এলাকায় হেপাটাইটিস-ই ভাইরাসে ১৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
হালিশহরে জন্ডিসের প্রকোপ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন মো. হানিফ (ফরহাদ)।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “চট্টগ্রাম সিটির জনগণের জীবন রক্ষায় ব্যাকটেরিয়ামুক্ত পানি সরবরাহে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, নিরাপদ পানি সরবরাহের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং জন্ডিসে আক্রান্তদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।”
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান, সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মহিউদ্দিন বলেন, আদালত কমিটিতে স্থানীয় প্রশাসনের দুইজন এবং বিশেষজ্ঞ তিনজনকে রাখতে বলেছে।