Site icon Health News

চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ

ম্যাক্স হাসপাতালে অভিযানের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সব বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে মালিকরা।

রোববার দুপুরে নগরীর জিইসি মোড়ে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যালয়ে জরুরি সভা শেষে প্রাইভেট হসপিটাল অ্যান্ড ল্যাব ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী খান এ ঘোষণা দেন।

তবে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থাকা রোগীরা এই ঘোষণার আওতায় পড়বেন না; তাদের চিকিৎসা চলবে বলে সাংবাদিকদের জানান ম্যাক্স হাসপাতালের এই পরিচালক।

তিনি বলেন, “বেসরকারি চিকিৎসকরা প্রয়োজনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের সেবা দিতে পারবেন।

হাসপাতাল মালিকদের এই ঘোষণার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি মুজিবুল হক খান।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেদীবাগ এলাকার ম্যাক্স হাসপাতাল, ওআর নিজাম রোডের মেট্রোপলিটন হাসপাতাল আর প্রবর্তক মোড়ের সিএসসিআর হাসাপাতালে একযোগে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান শুরু হয়।

দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ চলা এই অভিযানে নেতৃত্বে দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি হিসেবে ডা. দেওয়ান মাহমুদ মেহেদি হাসানও উপস্থিত ছিলেন।

সব বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন,“বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে ধারা ১৫, ২১ ও ৫০ অনুসারে এটা একটা সাংঘাতিক অপরাধ। আইনের ঊর্ধে কেউ না। প্রত্যেককে আইন মানতে হবে। এটা কেউ ব্যহত করলে তারা আইনের আওতায় আসবে। যদি কেউ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে আমরা আশা করব তারা সেখান থেকে ফিরে আসবে।”

দৈনিক সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুবেল খানের আড়াই বছর বয়সী মেয়ে রাইফা গলায় ব্যথা নিয়ে গত ২৮ জুন বিকালে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরদিন রাতে তার মৃত্যু হয়।

সাংবাদিকরা এই মৃত্যুর জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলাকে কারণ দেখিয়ে তাদের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেন ওই রাতেই।

পরে ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটিও এ ঘটনার তদন্ত করে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিবেদন জমা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

প্রতিবেদনে এই দুই চিকিৎসকের পাশাপাশি শিশু বিশেষজ্ঞ বিধান রায়কেও চিকিৎসায় ‘অবহেলার দায়ে’ অভিযুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

Exit mobile version