সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এবং বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষার ফি বেঁধে দিয়েছে সরকার।
ডেঙ্গুর NS1 পরীক্ষা করতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নেওয়া যাবে। CBC পরীক্ষার জন্য নেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা। এছাড়া IgG ও IgM এই দুটি পরীক্ষা করাতে হবে ৫০০ টাকার মধ্যে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ঢাকার বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের জন্য তিনটি টেস্ট করতে সব হাসপাতাল একই ফি নেবে। এটি আজ থেকে কার্যকর হবে।”
ডেঙ্গু শনাক্তে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রক্তের এই পরীক্ষাগুলো করাতে প্রতিটির জন্য এক থেকে দেড় হাজার টাকা লাগছিল। সরকারি এই সিদ্ধান্তের ফলে সেই খরচ এখন অর্ধেকের নিচে নেমে আসবে।
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুজ্বরে প্রকোপ দেখা দিয়েছে ঢাকায়, ধীরে ধীরে তা রাজধানীর বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে।
এই বছরে রোববার সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৬৫৪ জন; এর মধ্যে বেসরকারি হিসাবে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা ও মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে লালচে দানা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ হলেও এবার এর ব্যতিক্রম পাওয়া যাচ্ছে।
জ্বর হলে কাছের হাসপাতালে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্তের পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছে সরকার।
সতর্কতা
জ্বরে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াতে বলেছেন।
এবার ডেঙ্গুজ্বরে রক্তের ঘনত্ব কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ায় আক্রান্তের রক্তচাপ কমে যাচ্ছে কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে বলা হচ্ছে।
জ্বর ভালো হওয়ার পরও ডেঙ্গুজনিত মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।
অফিস, ঘর ও আশপাশে যে কোনো পাত্রে (এসির ট্রে/ফুলের টব) জমে থাকা পানি তিন দিনের মধ্যে পরিবর্তন করতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায় বলে দিনে ঘুমানোর ক্ষেত্রেও মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।